এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >  বাড়ছে সাধারণ সচেতনতা! বাইরে থেকে আগতরা বুক ফুলিয়ে বাইরে বেরোলেই স্বাস্থ্যদপ্তরে ফোন

 বাড়ছে সাধারণ সচেতনতা! বাইরে থেকে আগতরা বুক ফুলিয়ে বাইরে বেরোলেই স্বাস্থ্যদপ্তরে ফোন

প্রথম যেদিন করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেদিন অনেকেই ভেবেছিলেন, কিভাবে ভারতবাসী গৃহবন্দী হয়ে দিন কাটাবেন! অনেকে এমন করছিলেন যে, আশঙ্কা এতটা পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে যেন তারা বাহির ছাড়া থাকতেই পারবেন না। এমত পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে করোনার বৃদ্ধি এবং ভয়াবহতা দেখে অনেকেই সচেতন হতে শুরু করেছেন। কিছু কিছু মানুষ লকডাউনকে উপেক্ষা করে বাইরে বেরোলেও, বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের আত্মীয়-পরিজনদের কথা ভেবে নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছেন।

শুধু তাই নয়, গৃহবন্দি থাকা মানুষেরা এখন এতটাই সচেতন হয়েছেন যে, তাদের পাড়ার আশেপাশে যদি বাইরে থেকে কোনো মানুষ আসছেন, তাহলে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে ফোন করে জানাচ্ছেন পরিস্থিতি। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে প্রচুর ফোন আসতে শুরু করেছে। যেখানে গৃহবন্দী মানুষেরা ফোন করে বলছেন, “হ্যালো স্যার, আমার পাশের বাড়িতে একজন বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। দিব্যি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করোনা পজিটিভ হতে পারে। অবিলম্বে কিছু একটা করুন স্যার। না হলে বিপদে পড়ে যাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ প্রথম পর্যায়ে সাধারণের মনে যে ভয় গ্রাস করেছিল, এখন আর তাকে তোয়াক্কা করছে না কেউ। এখন প্রত্যেকেই চাইছেন, নিজেরা গৃহবন্দী থাকব কষ্ট করে। অথচ পাশের বাড়ির প্রতিবেশী আমার শরীরে ভাইরাস দেবে, তা আমি কোনোমতেই মেনে নেব না। আর তাই পাড়ায় যতই সখ্যতা থাক না কেন, বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের নির্ণয় করতে এখন স্বাস্থ্য দপ্তরে যাচ্ছে লাগাতার ফোন।

সূত্রের খবর, বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই ব্যাপারে প্রচুর ফোন আসতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। আর সাধারণের তরফে এই কথা শোনার পরই বিন্দুমাত্র দেরী না করে, সেই মানুষজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমানের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুনেত্রা মজুমদার বলেন, “আমরা করোনা সম্পর্কিত এই ধরনের ফোন পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের শনাক্ত করে আমরা তালিকায় রাখছি। তাদের ফোন নম্বর, ঠিকানা নিয়ে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি।”

আর স্বাস্থ্য দপ্তরের এই কথা থেকেই পরিষ্কার যে, প্রথম পর্যায়ে মানুষ গৃহবন্দী হয়ে থাকার আশঙ্কায় প্রখর গুনলেও এখন মানুষের মনে এই ব্যাপারটি দানা বেঁধেছে যে, গৃহবন্দী যখন থাকব, তখন কোনোমতেই করোনা যাতে আমাদেরকে গ্রাস না করে, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। আর তাই আশেপাশের কোনো ব্যক্তি বাইরে থেকে আসলেই, তাদের শনাক্ত করতে গৃহবন্দী মানুষদের তরফ থেকে ফোন যাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!