এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে বেসরকারি স্কুলের ফী কি হবে? বড়সড় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল আদালত! জানুন বিস্তারিত

করোনা আবহে বেসরকারি স্কুলের ফী কি হবে? বড়সড় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল আদালত! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে করোনা সংকট প্রত্যেককে চিন্তায় ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লকডাউন থাকায় মানুষের রুজি-রুটি এখন কার্যত সংশয়ের মুখে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোন স্কুলে কত শতাংশ ফি ছাড় দেওয়া হবে, তা স্থির করতে গঠিত করা হল কমিটি।

সূত্রের খবর, সোমবার বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে একটি মামলায় এই ব্যাপারে একটি নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন স্কুলে কত শতাংশ ফি ছাড় দেওয়া হবে, তা শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত কমিটিই স্থির করবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থানে অনেকটাই ভিন্নতা রয়েছে। তাই ফি হ্রাস করার কোনো নির্দেশ সেভাবে অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরী নাও হতে পারে। তাই একথা মাথায় রেখেই বেসরকারি স্কুলগুলোকে এই সমস্যা মেটানোর জন্য আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, একটি কমিটিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল, প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন প্রবীণ শিক্ষক এবং তিনজন অভিভাবক প্রতিনিধি থাকবেন।

তবে এদিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিটিতে অভিভাবকদের তরফে যারা প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন, তাদের কোনোভাবেই মনোনীত করা চলবে না। এক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে এই প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে হবে। অর্থাৎ স্কুলের ফি-এর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে এখন শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত কমিটিই যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, তা এদিন হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কার্যত স্পষ্ট করে দেওয়া হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ কমিটির কাছে স্কুলগুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু স্কুল তাদের আয়-ব্যয়ের তথ্য জমা দেয়নি বলে খবর। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত স্কুল এই কাজ এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি, তাদের মুখ বন্ধ খামে আদালতের পক্ষ থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে সকলের উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, যে সমস্ত অভিভাবক ফি দিতে সক্ষম, তারা যেন কোনোভাবেই পরিস্থিতির সুযোগ না নেয়।

অন্যদিকে কলকাতার সিএনআই পরিচালিত স্কুলগুলোকে ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সিএনআই পরিচালিত স্কুল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর এই মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত সিএনআই পরিচালিত স্কুল শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করবে, তাদের আয়-ব্যয়ের সংক্রান্ত তথ্য আদালত নির্ধারিত বিশেষ কমিটির কাছে কোনোভাবেই পেশ করতে হবে না। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলের ফ্রী নির্ধারণের ব্যাপারে গঠিত কমিটি এখন কতটা সমস্যার সমাধান করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!