এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে ভুয়ো কোভিশিল্ড, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে ভুয়ো কোভিশিল্ড, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা করোনাকে এড়ানোর জন্য প্রতিষেধকের ওপর জোর দিচ্ছেন। কিন্তু এবার প্রতিষেধক নিয়েই আশংকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথম থেকেই ভারতে করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন। আর এবার কোভিশিল্ডের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অভিযোগ উঠেছে, কোভিশিল্ডের ভুয়া ভ্যাকসিন নিয়ে। কার্যত অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার দ্বারা তৈরি এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা নির্মিত ভ্যাকসিনের নকল প্রচারের রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।

কার্যত করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ক্রয় ও সরবরাহ ব্যবস্থা এবং প্রশাসনের নজরে থাকার জন্য কোউইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রকৃত ভ্যাকসিন প্রদানের কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রথম থেকেই। কিন্তু তা সত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগ, নিম্নমানের এবং নকল চিকিৎসা পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কোভিশিল্ড। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ চালিয়ে ভারত এবং উগান্ডায় নকল কোভিশিল্ড চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তাই হু এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কিছু জায়গায় ভুয়ো কোভিশিল্ডের উল্লেখ করে সর্তকতা জারি করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, ভুয়ো কোভিশিল্ড জুলাই এবং আগস্টে প্রতিবেদন করা হয়েছিল। কোভিশিল্ডের প্রণেতা ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বেশ কিছু রোগীর রিপোর্টে ভুয়ো ভ্যাকসিন নজরে এসেছে। তাই এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ভারতকে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাইকারি বিক্রেতা, ফার্মেসি এবং চিকিৎসা পণ্য সরবরাহকারীদের মধ্যে সর্তকতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। কার্যত ভুয়ো পণ্য ব্যবহার করা হতে পারে যেসব ক্ষেত্র এবং দেশে, সেখানেই সর্তকতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি ভারতে চিহ্নিত করা হয়েছে কোভিশিল্ড 2 মিলিমিটার এবং তার পরেই বোঝা যায় এটি নকল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এখনো পর্যন্ত 2 মিলিমিটার ভ্যাকসিন তৈরি করেনি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে উগান্ডায় কোভিশিল্ডের যে ব্যাচ দেখানো হচ্ছে, তার মেইয়াদ শেষ হবার তারিখ 10/ 8/ 2021। কার্যত ভুয়ো ভ্যাকসিন বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে উদ্বেগ বেড়েছে। পাশাপাশি রোগীদের শারীরিক ক্ষতি রোধ করার জন্য ভুয়ো ভ্যাকসিন সনাক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা আছে ভারতের ক্ষেত্রে।

কিন্তু তবুও ভারত যে ভুয়া ভ্যাকসিন পায়নি সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হবে। কার্যত ভারতে ভ্যাকসিন পাওয়া মাত্রই একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে, যেখানে ব্যাচ নাম্বার এবং ভ্যাকসিন এর বিবরণ দেওয়া থাকে। বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ও বিক্রির সংখ্যার ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক। সেক্ষেত্রে জুলাই মাসে তারা কোভিশিল্ড উৎপাদন করেছে 110 মিলিয়ন থেকে 120 মিলিয়ন ডোজ। অন্যদিকে হু এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সমস্ত মেডিকেল পণ্য অনুমোদিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত সরবরাহকারীদের কাছ থেকেই নেওয়া প্রয়োজন।

একাধিক সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খুব স্বাভাবিকভাবেই কোভিশিল্ড ভুয়ো হবার কথা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। ভারতের বহু মানুষ গত দু’মাসে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে কোভিশিল্ড অনেকেই নিয়েছেন। আর তাই চিন্তাও বাড়ছে সেক্ষেত্রে। আপাতত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ভারত সরকার এবং তদন্তে নতুন কোন তথ্য সামনে আসে কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!