এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আতঙ্কের মাঝেই তৃণমূল নেতাদের বড়সড় আতঙ্ক ছড়ালো পিকের নয়া পদক্ষেপ,বাড়ছে ক্ষোভ

করোনা আতঙ্কের মাঝেই তৃণমূল নেতাদের বড়সড় আতঙ্ক ছড়ালো পিকের নয়া পদক্ষেপ,বাড়ছে ক্ষোভ

লোকসভা ভোট মেটার পর দেখা যায় তৃণমূল ১৮ টি আসন দখল করেছে বিজেপি। ঘরের কাছে নিঃস্বাস ফেলছে বিজেপি তাই নতুন করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে ডাক পরে ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরের। প্রশান্ত কিশোরকে দলের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি এসে একের পর এক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়েছেন, তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে এর ফলে তৃণমূল বিপুল সংখ্যা নিয়ে পুরভোট ও বিধানসভায় জিততে চলেছে। যদিও সে অন্য কথা কোরোনার কারণে আপাতত পুরভোট হচ্ছে না। তবে প্রশান্ত কিশোরের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

আগে প্রশান্ত কিশোরের টীম দলীয় নেতারা ঠিকঠাক কাজ করছেন কিনা সে হিসাব নিচ্ছিলো, সাথেই কাজ ঠিকঠাক না হলে শাস্তির মুখে পড়ারও ভয় ছিল। ফলে দিদিকে বলোর প্রচার বা বংলার গর্ব মমতা-তে ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর যা টাস্ক দিয়েছে ভালো ছেলের মতো সেই সব টাস্ক করতে হয়েছে। নেতাদের হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছিল , করোনা আতঙ্কে লক ডাউন থাকায় নেতাদের চাপ কিছুটা করেছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে ফের নেতাদের আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে।

করোনা-পরিস্থিতির মধ্যেই জেলায় করোনা প্রতিরোধে তৃণমূলের নেতারা কতটা সক্রিয়, এ বার সেই খোঁজখবর শুরু করেছে ‘পিকে’। রেশনে অনিয়মের নালিশ ঠেকাতে নেতারা কী করছেন, এলাকার অসহায় মানুষেরা ত্রাণ ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা— সে সবের হদিস নেতাদের কাছেই নিচ্ছেন পিকে-র সংস্থার প্রতিনিধিরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে নাম্বার বাড়বে তাদের।

জানা যাচ্ছে এদিন জেলার এক বিধায়কের কাছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার প্রতিনিধিদের ফোন যায়। যেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সাংগঠানিক নানা বিষয়, সাথেই করোনা মোকাবিলায় দল যা নির্দেশ দিয়েছিলো তা ঠিক পালন হয়েছে কিনা? কিংবা তিনি কতটা তাতে সক্রিয়, তাঁর সঙ্গে কারা করা সক্রিয় ছিলেন। কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কিনা? কিংবা এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ায়েছেন কিনা? রেশন ব্যাবস্থা ঠিক আছে কিনা? এমন হাজার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। শুধু জনপ্রতিনিধিই নন, নজর রাখা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের উপরেও। তাঁরা কেমন কাজ করছেন, কারও কাজে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ কিনা— সে দিকেও খেয়াল রয়েছে পিকে-র সংস্থার।

রেশনে অনিয়ম ও কারচুপি নিয়েও তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট। অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন কয়েক জন ডিলারের নামও তালিকা ভুক্ত হয়ে গেছে, শুধু তাই নয় তাঁরা দলের কোন কোন ব্যাক্তি বা জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তাও দেখা হচ্ছে ,তা নিয়েও রিপোর্ট তৈরী হচ্ছে ,যা কোনো মতেই স্বস্তির খবর নোই তৃণমূল নেতাদের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সূত্রে খবর, করোনা মোকাবিলায় দলের কোন কোন নেতা, জনপ্রতিনিধি কী ভাবে মানুষের পাশে থাকছেন— তার খোঁজ নিয়ে ‘রিপোর্ট কার্ড’ তৈরি করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। আর তাতে জেলার অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধির রিপোর্ট খুব স্বস্তির নয়। তা নিয়ে সে সব নেতাদের সতর্কও করা হয়েছে। ফলে অনেকেই আতঙ্কিত। যে যে এলাকায় বিন্দুমাত্র অভিযোগ উঠেছে সেখানকার বিধায়ক, নেতাদের কিছুটা চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিয়ে পুরসভার এক কাউন্সিলর বলেন, ‘‘আমার কাছে ফোন এসেছিল। নানা প্রশ্ন করা হয়। যা জানি সবই বলেছি।’’ জেলার এক বিধায়ক বলেন, ‘‘কোন এলাকায় দুঃস্থ মানুষের জন্য কী করা হয়েছে, রেশন সবাই ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, আমি কেমন কাজ করছি— এ সব জানতে চাওয়া হয়।’’
তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘করোনার আবহে জনপ্রতিনিধিরা কেমন কাজ করছেন সেই খোঁজখবর নিচ্ছেন পিকে-র প্রতিনিধিরা।’’

দলের অন্দরমহলের কানাঘুষো চলছে যে প্রশান্ত কিশোরের এহেন আচরণ অনেকে নেতা ভালোভাবে নিলেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নিজেদের ঘনিষ্ঠ মহলে। অনেকেই বলছে বাড়াবাড়ি করছেন পি কে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না কেঊই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!