করোনা অতিমারীর জেরে আগামী বছরের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে বড়সড় পরিবর্তন? জেনে নিন কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে চারদিকে স্থগিত থাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে সেই পরিস্থিতিতে হঠাৎ উঠে এসেছে শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার কথা। যতই হোক এই পরীক্ষা দুটি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে বড় কোনো ক্ষেত্রে প্রবেশের প্রবেশদ্বার স্বরূপ। তাই এই পরীক্ষার কথা ছাড়া শিক্ষাবর্ষের পরিকল্পনা করলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই স্বভাবতই প্রসঙ্গক্রমে উঠে এসেছে আগামী বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কার্যক্রমের কথা। করোনা পরিস্থিতিতে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল। কিন্তু অন্যান্য বছর এরই মধ্যে স্কুল লেভেলে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পুজোর আগেই নিয়ে নেওয়া হয় একটি প্রিটেস্ট। এছাড়া পুজোর মধ্যে সিলেবাস কমপ্লিট করে বছরের শেষের দিকে থাকে একটি টেস্ট পরীক্ষা এবং সর্বশেষে ফাইনাল অর্থাৎ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এবছর জানুয়ারি থেকে নতুন হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে মার্চ মাস থেকে লকডাউনের ফলে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেইসঙ্গে বন্ধ স্কুলের পঠন পাঠনও। সরকারি তরফে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তা কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। তাই সামনের বছর আসন্ন পরীক্ষার্থীরা কিভাবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন সেই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - খবর নিয়ে জানা গেছে, আগামী বছর কবে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে মাত্র। তবে অনুমান করা যাচ্ছে, যেহেতু আগামী বছর রাজ্যের বিধানসভা ভোট রয়েছে, তাই সেই কথাকে মাথায় রেখেই হয়ত ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আলোচনা করা যাইনি বলেই জানা গেছে। তবে অন্যদিকে সর্বভারতীয় বোর্ডগুলি সিলেবাস কমানোর কথা ঘোষণা করেছেও মধ্য শিক্ষাপর্ষদ এবং সংসদের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যায়নি।বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষাবর্ষ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হয়। তবে শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ’র তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে আইসিএসই এবং সিবিএসই’র সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রাজ্যের স্কুলস্তরেও এপ্রিল থেকে মার্চ এই শিক্ষাবর্ষ করা হোক। যেমনটা আগেও ছিল। তাঁর মতে এমনটা হলে ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবে। অন্যদিকে সিলেবাসে কাটছাঁট করার দাবি তোলা হলে সেখানে বলা হয়, সেক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা সবটা জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকবে। ফলত সিলেবাস কমালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যায় পড়বে। তাই সেদিকে বাদ না দিয়ে শিক্ষাবর্ষকে পিছিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। তবে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি এই বিষয়ে কয়েকটি ভারচুয়াল বৈঠক করলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি বলেই জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -