এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র সরকার! এবার নিজেদের রাজ্য নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী-শাহ

করোনা আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র সরকার! এবার নিজেদের রাজ্য নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী-শাহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে সামনে একাধিক উৎসব অনুষ্ঠান। তবে সম্প্রতি কেরালা নিয়ে বেশ ‘শিক্ষা’ হয়েছে দেশের। তাই এবার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। জানা গেছে, কেরালাতে ওনামের পর বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে এবার উৎসব আয়োজনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না গুজরাট সরকার।

করোনা আবহে চলতি বছরের জন্য তাই বাতিল করা হচ্ছে নবরাত্রির ‘‌গরবা’‌। বস্তুত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এক্ষেত্রে পুজো হলেও একাধিক বিধিনিষেধ মানতে হবে বলেই জানান হয়েছে। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে বিজয় রূপানি সরকার। আগামী ১৬ই অক্টোবর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলেও জানা গেছে।

তবে কি আছে এই নির্দেশিকায়? জানা গেছে, রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনগুলো ছাড়া সামাজিক, শিক্ষামূলক, বিনোদন, সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ, এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি কিছু শর্ত মেনে তবেই আয়োজন করা যাবে। আর ওইসব অনুষ্ঠানে মানতে হবে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম নির্দেশিকা।

কোনো অনুষ্ঠানে কোনওভাবেই ২০০–রও বেশি ব্যক্তি থাকতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যে কোনো অনুষ্ঠানের সময়সীমা কখনই এক ঘণ্টার বেশি হতে পারবে না। শুধু তাই নয়, প্রতি ক্ষেত্রে ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানান হয়েছে। ফলে সেক্ষেত্রে আগে থেকে অবশ্যই মার্কিংও করতে হবে অনুষ্ঠান আয়োজন কারিদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ তো গেল অনুষ্ঠানের কথা। এবার বলা যাক, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্দেশিকার বিষয়ে। এক্ষেত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে থার্মাল স্ক্যানার এবং স্যানিটাইজার ডিসপেন্সারও থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানের মঞ্চ, মাইক এবং চেয়ারগুলিও স্যানিটাইজড করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে অনু্ষ্ঠান চলাকালীন পানমশলা ও গুটখা জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে বলেও জানান হয়েছে। এছাড়া যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি বা ১০ বছরের কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের অনুষ্ঠানে থাকতে দেওয়া যাবে না বলেই জানা গেছে। সেইসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রেও এই জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার কথাও বলে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে করোনাতে মৃত্যুহার কমলেও সংক্রমনের হার কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে তরতরিয়ে। তাই করোনা সংক্রমণ যাতে কোনওভাবে উৎসবের কারণে না ছড়ায় সেই জন্যই গুজরাট সরকার এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এইবছর ছোট,বড়,মাঝারি কোনও রকম গরবার অনুষ্ঠানই আয়োজন করা যাবে না বলেও জানান হয়েছে।

সেইসঙ্গে নবরাত্রি উদযাপনের সময় সর্বজনীন স্থানে প্রতিমা স্থাপন করলেও, সেই প্রতিমা স্পর্শ করা বা প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না বলেও জানান হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দুর্গা পুজো, দশেরা, ভাইফোঁটার মত উৎসবগুলোতে সবাইকে নিজের নিজের বাড়িতে থেকেই উৎসব পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!