এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আতঙ্ক উড়িয়ে মহালয়ার তর্পণে সকাল থেকেই ভরে উঠল গঙ্গার ঘাট! কিন্তু রইল সচেতনতার চিহ্ন!

করোনা আতঙ্ক উড়িয়ে মহালয়ার তর্পণে সকাল থেকেই ভরে উঠল গঙ্গার ঘাট! কিন্তু রইল সচেতনতার চিহ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ মহালয়া- পিতৃপক্ষের শেষ, মাতৃপক্ষের শুরু। ঢাকে কাঠি পড়ে গেল আজ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা আসছে। সারা বছর পূজোর কদিনের জন্য অপেক্ষায় থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিরা। প্রবাসীরা ফেরেন দেশে। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি অন্য। বছরের শুরুতেই করোনাকাল শুরু হয়েছে, যার রেশ এখনো বর্তমান। এই এক বছরের মধ্যে শত শত প্রাণ গেছে করোনাসুরের তাণ্ডবে। তবে একমাস দেরি এখনো দুর্গাপুজোর। কিন্তু মহালয়াতে প্রতিবছরের মতো এবারেও সাধারণ মানুষরা যাতে নিয়ম মেনে তর্পণ করতে পারেন, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল।

কারণ এ বছর করোনার কারণে জারি হয়েছে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা। আর সেই নিষেধাজ্ঞায় নজর দিয়ে বদলানো হয়েছে তর্পনের নিয়মও। দেখা গেছে, তর্পণকারীদের দাঁড়ানোর জন্য ঘাটে ঘাটে সাদা গোল দাগ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একে অপরের থেকে যাতে 6 ফুট দূরত্ব বজায় রাখে তার জন্য ক্রমাগত ঘাটগুলোতে অ্যানাউন্সমেন্ট চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে। মহালয়াতে গঙ্গার ঘাটের সাথে সাথে শহরের বেশ কিছু বড় পুকুর বা সরোবরেও তর্পণ চলে। তাই এবার সেদিকেও নজর রাখছে স্থানীয় থানার পুলিশ। করোনাকে সাথে নিয়েও কিন্তু গঙ্গার ঘাটগুলিতে ভিড়ও হয়েছে চোখে পড়ার মত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে, তর্পণকারীরা যাতে শুধুমাত্র একটি ঘাটে ভিড় না করেন। তাই বিভিন্ন ঘাটেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। দুর্ঘটনা দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই তারা তৈরি ঝাঁপিয়ে পড়তে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে গঙ্গায় বান আসতে পারে। আর সেদিকে নজর দিয়ে কড়া সর্তকতা জারি রয়েছে পুলিশের। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি বড় ঘাট জল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। এছাড়াও গঙ্গায় পুলিশের স্পিডবোর্ড এবং জেটস্কি ক্রমাগত টহল দেবে বলে জানা গেছে।

একসঙ্গে বেশি মানুষ যাতে জলে না নামে, তার জন্য ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে যাতে কোন জায়গায় জমায়েত না হয় এবং বক্স বাজানো না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রেখেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ এবার মহালয়ার সাথে সাথে দুর্গাপুজোর দিকেও কড়া নজর রাখছে বলে জানা গেছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে খবর। ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে প্রতিটি মন্ডপ যাতে খোলামেলা করা হয় তার জন্য। আপাতত বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা নিয়ে চলছে চূড়ান্ত মুহূর্তের ব্যস্ততা। তবে করোনা আতঙ্ক এখনো ঘিরে রেখেছে বাঙালিকে। তাই এবার দেখার, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এর টান যেতে নাকি করোনার আতঙ্ক বাড়ে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!