করোনা এনে দিয়েছে মহাসুযোগ! বিধানসভার নির্বাচনের আগে নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের ভাবনায় মমতা সরকার! কলকাতা রাজ্য July 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিধানসভার ভোট যখন চৌকাঠে পা রাখতে চলেছে তখন সেই ভোট প্রচারের প্রভাব থেকে করোনা ভাইরাসই বা বাদ যায় কেন? এখনকার সময় হলো ব্র্যান্ডিং-এর যুগ। আর এবার করোনা ভাইরাস একটি সুযোগ নিয়ে এলো। এমনিতেই করোনার জেরে মুখের মাস্ক আর স্যানিটাইজার মানুষের জীবনের প্রাত্যহিক ব্যাবহারের সামগ্রী হয়ে উঠেছে। সেই মাস্কে রাজনৈতিক রং লাগবে না তাই কী হয়! আগেই দেখা গেছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সাদা-নীল রঙের মাস্ক ব্যাবহার করেছেন। তাতে বাংলার মানচিত্র আঁকা। দিলীপ ঘোষকে দেখা গেছে গেরুয়া রঙের মাস্ক পড়ে বক্তব্য রাখছেন। তবে এবার যা হতে চলেছে তা এইসবেরও কয়েক কাঠি ওপরে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যসরকারের বরাত প্রাপ্ত বিশ্ববাংলা মার্কেটিং করপোরেশন লিমিটেড তৈরি করতে চলেছে বিশেষ ধরণের ত্রিস্তরীয় মাস্ক। সেই মাস্কের জন্য ক্যাচলাইন ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন মমতা ব্যানার্জি — ” বাংলা আমার মা”। লেখা হবে ফেব্রিকে। নীচে ছোট হরফে লেখা হবে — ” পশ্চিম বঙ্গ সরকার। ” জোরকদমে চলছে এই মাস্ক-ব্র্যান্ডিং। খবর অনুসারে, রাজ্য সরকার দুটি মাপের মোট ৬ লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দিয়েছে। সেগুলোর রঙও ঠিক করে ফেলেছে সরকার। এবার শুধু সেই মাস্কের আবির্ভাব হওয়ার অপেক্ষা। এই ” বাংলা আমার মা” লেখা মাস্ক শুধু সরকারি কর্মচারী, পুলিশ বা আধিকারিকরাই ব্যাবহার করবেন তা নয়, সাধারণ জনতার হাতেও সেই মাস্ক তুলে দেবেন মমতা৷ অর্থাৎ, এবার বিধান সভা ভোটের আগে নতুন ধরনের প্রচারে ভূমিকা নিতে চলেছে মাস্ক, পরোক্ষভাবে করোনা ভাইরাস। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ইতিমধ্যেই এই মাস্ক ব্র্যান্ডিং নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যকে তোপ দেগে বিজেপি নেতা বলেছেন, “এটা রাজনীতি। মাস্কের রাজনীতি।” কিন্তু, তাতে কী যায় আসে। রাজনীতির রং আগেও ছিল, থাকবেও। আপনার মতামত জানান -