করোনা বিধিনিষেধ উড়িয়ে এবার প্রতিবাদ কর্মসূচি করার নির্দেশ তৃণমূল নেত্রীর, জনমানসে বাড়ছে ক্ষোভ! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 3, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরপ্রদেশের হাতরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে সমস্ত বিরোধীদল অভিযুক্তের কাঠগড়ায় তুলে তার তীব্র নিন্দা করেছে। প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের হাতরসের গণধর্ষিতা নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর ৪ জন অভিযুক্ত তাকে গণধর্ষণ করেছিল। গণধর্ষণের পর তার ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছিল। প্রথমে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতির কারণে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে আনা হয়েছিল। গতকাল উত্তরপ্রদেশের হাতরসে নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিস আটকে দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে। যে দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতা বালা ঠাকুর, প্রতিমা মন্ডল প্রমুখেরা। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এরপর এই গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মালদা জেলার বিভিন্ন ব্লকে বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তৃণমূল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মৌসম বেনজির নূর জানান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি কিভাবে এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশানুযায়ী এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর জানিয়েছেন, এই মর্মান্তিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সারা মালদা জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যদি তাঁকে হাতরাস যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে সে নির্দেশ তিনি অবশ্যই তা পালন করবেন। তিনি আরও জানান যে, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ, করেছে অত্যাচার। রাজ্যসভা শুরু হলে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি এর প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেয়, তবে সে নির্দেশ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। আবার হাতরসের নির্যাতিতার পরিবার ও সেইসঙ্গে দলিত সমস্ত মহিলাদের পাশে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, এটাও তিনি জানালেন। কিন্তু রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ কালে এ ধরণের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রসঙ্গত মালদহ জেলার করোনা পরিস্থিতিও তেমন সন্তোষজনক নয়। যেখানে মোট করোণা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। শাসক দল ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেখানে বারবার করে সামাজিক দূরত্ব পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বারবার করে যেখানে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শাসক দলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এরফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ফলে জনমানসে বাড়ছে ক্ষোভ। আপনার মতামত জানান -