প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, তত করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলায়। দ্রুত যেভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত করার পর এবার হেভিওয়েট ব্যক্তিদের শরীরেও বাসা বাঁধছে ভয়াবহ এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী সহ বিরোধীদের অনেক জনপ্রতিনিধির শরীরেও এই ভাইরাস হানা দিয়েছে। কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই এই ভাইরাসে সুস্থ হলেও, তাতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। ফলে সেদিক থেকে জনপ্রতিনিধিরা মানুষের দুর্দিনে থাকলেও, তারা যাতে সচেতনতা পালন করেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, তার জন্য বারবার বিশেষজ্ঞরা বার্তা দিয়েছেন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ভাইরাসের প্রকোপ আটকানো যাচ্ছে না। এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন বিশ্বাস। সূত্রের খবর, রবিবার সকালেই স্বাধীনবাবুর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। আর তারপরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায়। জানা গেছে, বর্তমানে 14 দিন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তিনি।

আর একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের শরীরেও এখন যেভাবে এই ভাইরাস হানা দিচ্ছে, তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ছে সকলের। কেননা মানুষের দুর্দিনে জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তারা এত সচেতনতা পালন সত্ত্বেও, যদি তাদের শরীরেও এই ভাইরাস হানা দেয়, তাহলে সাধারন মানুষের সুরক্ষা কোথায়, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় শরীরেও এই ভাইরাস হানা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর এবার মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন বিশ্বাস ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তবে দ্রুত যাতে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য প্রার্থনা করছেন তার অনুগামী থেকে শুরু করে দলের নেতাকর্মীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে খুব সহজেই মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু যদি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে আগে থেকেই কোনো রোগ থাকে, তাহলে সুস্থ হতে কিছুটা হলেও সময় লাগছে। ফলে বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন বিশ্বাস করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে পাকাপাকিভাবে কবে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।