এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার চাপে ফিরে এলেও আয়ের পথ খুঁজে না পেয়ে আবারো ভিনরাজ্যে ফিরতে মরিয়া পরিযায়ীরা!

করোনার চাপে ফিরে এলেও আয়ের পথ খুঁজে না পেয়ে আবারো ভিনরাজ্যে ফিরতে মরিয়া পরিযায়ীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা বিশ্বে করোনা তার অবাধ তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে এখনও। আর সেই পরিস্হিতি থেকে রেহাই পায়নি আমাদের ভারত ও । এই করোনা মুকাবিলায় বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও লক ডাউন করা হয়। কিন্তু সেই লক ডাউন এর কারণে যারা বাইরে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন তারা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি দীর্ঘদিন। বর্তমানে তাদের প্রশাসনিক সহায়তায় বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে।

লক ডাউন এখনও বহাল রয়েছে। স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল, পথে নামেনি বাস। তবুও ভিন রাজ্য থেকে গ্রামে ফিরে আয়ের কোনো স্পষ্ট দিশা দেখতে না পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সিংহভাগই পোড়া পেটের জন্য আবার ফিরে যেতে চাইছেন প্রবাসে ভিন রাজ্যে তাঁদের পুরানো কর্মস্থলে। সেইরকমই নবগ্রাম এর এক শ্রমিক বয়স্ মেরে কেটে বাইশ। রাজমিস্ত্রির কাজে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন বছর কয়েক আগে।

তার বক্তব্য, ” জমানো টাকা সব ফুরিয়ে আসছিল বলেই ফিরে এসেছি। আমাদের কী আর ঘরের মায়া করলে চলে, ফিরে যেতে হবে আবার!” বালি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের একজন নির্মাণ শ্রমিক ও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে গ্রামে ফিরেছিলেন। কিন্তু বাড়িতে তার দিন আনি দিন খাই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ভিন রাজ্যেই আবার যে তাকে ফিরে যেতে হবে কবুল করেছেন তিনিও। তিনি বলছেন ,” গ্রামে থেকে তো ওই আয় করতে পারবো না। অন্ন জোগাড় করতে সেই মুম্বাই ই ভরসা। ট্রেন চলাচল শুরু হলেই পাড়ি দেব ।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুম্বাই – দিল্লী- গুজরাট – কেরোল প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ওঁরা কেউ জরির কাজ করেন, কেউ বা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কেউ জড়িয়ে আছেন সোনার কারিগরের সাগরেদ হিসেবে কেউ বা নিতান্তই দিনমজুর। নও দার বাসিন্ধা একজন বলেন ,” আমরা কেরোলে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা রোজগার করতাম। জোগাড়ের কাজ করলেও সাড়ে তিনশো টাকা আয় ছিল। এখানে এসে টাকা পাব কোথাও!”

একই কথা শোনালেন ফারাক্কার এক সোনার কারিগর ,” ভিন রাজ্যে আমরা যে কাজটা করতাম সেই কাজ যদি রাজ্যে বসে করি, তাহলে এর অর্ধেক আয়ও হত না। লক ডাউন পুরোপুরি উঠে গেলে তাই আবার মুম্বাই ফিরে যাবো।”
তাঁদের ভিন প্রদেশে ফিরে যাওয়ার এই কারণগুলো মেনে নিচ্ছেন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। নওদা পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য তথা ভূমি কর্মধ্যক্ষ বলেন,” এখানে কাজ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা যা আয় করতেন তার থেকে বেশি আয় করতে ভিন রাজ্যে গেলে কে আটকাবে তাদের, কেনই বা আটকাবে ?”

বেলডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বলেন,” সরকার নিশ্চয়ই তাঁদের জন্য ভাববেন। কিন্তু আয়ের মাপকাঠি বেঁধে দেব কী করে। ওঁরা ফিরতে চাইলে বেঁধে রাখবই বা কোন ভরসায়!” মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) অবশ্য বলেন,” পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তাঁরা তাঁদের কাজের জায়গায়, ভিন রাজ্যে ফিরে যাবেন। এটা তাঁর অধিকার। কিন্তু এই জরুরি সময়ে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের একশো দিনের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ যাতে সেই কাজ পান সে জন্য শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!