এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > শরীর-স্বাস্থ্য > করোনা চিকিৎসায় সাফল্য মিলছে 100%, নতুন করে আশা জাগাচ্ছে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিই!

করোনা চিকিৎসায় সাফল্য মিলছে 100%, নতুন করে আশা জাগাচ্ছে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস সবথেকে বেশি আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকে চেষ্টা করছেন, এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে ওষুধ আবিষ্কার করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা অসম্ভবের তালিকায় রয়েছে। তবে অনেকেই বলছেন, আয়ুর্বেদের উপর ভরসা রাখলেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে এবার আর অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি সিদ্ধার মাধ্যমে করোনা রোগ সারতে পারে বলে দাবি করেছে তামিলনাডু সরকার।

প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর দীর্ঘ কয়েক বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হল সিদ্ধা। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের একটি সেন্টারে 25 জন করোনা রোগী এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠেন‌। আর তারপরেই তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের অন্যত্র করোনা রোগীদের মধ্যে এই ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, তামিলনাড়ুর যে এলাকা করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই এলাকায় করোনা শিবিরে রোগীদের এই সিদ্ধা পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। প্রাচীন এই পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে এবার করোনা ভাইরাস অনেকটাই সেরে যাবে বলে তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে সেই ওষুধ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তামিলনাড়ু সরকারের মন্ত্রী কে পান্ডিয়ারাজান বলেন, “করোনার চিকিৎসায় সিদ্ধা আমাদের ট্রাম্পকার্ড। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা 100%। সিদ্ধা যোগ ও আয়ুর্বেদকে মিশিয়েই চিকিৎসা করছি। এর সঙ্গে গবেষণামূলক ভিত্তি নেই ঠিকই। কিন্তু ইতিহাস এবং মানুষের বিশ্বাস আছে। যাদের ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে ভরসা অ্যালোপ্যাথি। যদিও এই ধরনের রোগীর সংখ্যা মাত্র 3%। যাদের শরীরে করোনখ উপসর্গ রয়েছে, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ইচ্ছুক ব্যক্তিদের এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।”

তবে তেমনভাবে নিশ্চয়তা না থাকা সত্ত্বেও, যেভাবে এই ওষুধ করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে নানা মহলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। অনেকেই বলছেন, এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এমনকি এই চিকিৎসা পদ্ধতির তেমনভাবে কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় জীবনহানিও ঘটতে পারে। তবে তামিলনাড়ু সরকার অবশ্য সিদ্ধা পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করার ক্ষেত্রে আত্মপ্রত্যয়ী। তবে শেষ পর্যন্ত এই চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায় কিনা, তার দিকেই এখন নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!