এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনের ল্যাব থেকেই কি এবার মিলতে চলেছে কোরোনার ভ্যাকসিন, দাবি ঘিরে আশার আলো

চীনের ল্যাব থেকেই কি এবার মিলতে চলেছে কোরোনার ভ্যাকসিন, দাবি ঘিরে আশার আলো


করোনার থাবায় গত কয়েক মাস ধরে গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিদিন গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি এখনও করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য দিনরাত্রি এক করে পরিশ্রম করছেন। ইতিমধ্যেই করোনার উৎস স্থল চীন থেকে প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিষয় পাওয়া গেছে সদর্থক তথ্য।

ইউকে-র জার্নাল Lancet- সূত্রে জানা গেছে একাধিক গবেষণার পর এই ইতিবাচক ফল চীন অনলাইনে প্রকাশ করেছে। জানা গেছে মানুষের শরীরে করোনার প্রতিষেধক অনুপ্রবেশ করানোর পর ২৮ দিন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এই প্রতিষেধকটি নিরাপদ বলেই ঘোষণা করা হয়েছে চীনের তরফে। প্রাথমিকভাবে ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করা হয় বলে জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে তাদের ৩ টি ভাগে ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি ভাগে আলাদা আলাদা প্রতিষেধকের ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চিনের অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি মেডিক্যাল সায়েন্সের বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক চেন উই – এর পরিচালনায় গোটা গবেষণার কাজটি চলছে বলে খবর। জানা গেছে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা নিরীক্ষা শীঘ্রই শুরু করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে প্রায় ৫০৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে এই পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। চীন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখালেও গবেষণা থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ফলের কথা এখনও কিছু জানাতে পারেনি। প্রসঙ্গত বলা যায় বিশ্বের বাকি দেশ গুলিও করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে হাত পা গুটিয়ে বসে নেই। এদিন এমনই একটি নজির পাওয়া গেলো। এদিকে অক্সফোর্ডের টিম ইতিমধ্যেই তাদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধক বাঁদরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল।

জানা গেছে ২৮ দিনের মধ্যে তাদের শরীরে ইমিউনিটি পরিলক্ষিত হয়েছে। এরপর অক্সফোর্ডের টিম মানুষের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রবেশ করিয়ে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সূত্রের খবর প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৫ বছরের কম বয়সি ১০০০ জনের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। যা কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড। তবে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার জন্যও তারা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর দ্বিতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়ালের ক্ষেত্রে প্রায় ১০২০০ জন মানুষকে পরীক্ষার জন্য নিযুক্ত করা হবে। তার মধ্যে ২ এবং ৫ বছরের শিশুরাও থাকবে যাদের ওপর এই পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব মানুষদেরকেও এই পরীক্ষার আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড টিম। অধ্যাপক সারা গিলবার্ট এদিন জানিয়েছেন বয়স্করা এই পরীক্ষা মূলক কাজে খুবই উৎসাহ দেখিয়েছেন।

তাই তাদের ওপরেও প্রতিষেধকের পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক সারা গিলবার্ট অক্সফোর্ড টিমের সমগ্র গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা মূলক গবেষণার পর ইতিবাচক ফল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বিজ্ঞানী মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!