এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনার আঁতুরঘর চিনে ফের শুরু সংক্রমণ, নতুন করে জারি লকডাউন

করোনার আঁতুরঘর চিনে ফের শুরু সংক্রমণ, নতুন করে জারি লকডাউন


চীন থেকেই যে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সে বিষয়ে মোটামুটি ভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে। চীনে করোনা সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর কয়েক মাসের মধ্যেই চীন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। এই পরেই চীনের সমস্ত জায়গায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু গত শনিবার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা গেছে চীনে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ফের এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে নতুন করে সেখানে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখার সতর্কবার্তা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছিল চীনকে। বহুবার সাবধান বার্তা দেওয়া সত্বেও লকডাউন তুলে নেওয়া হয় চীনে। সাধারণমানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দেয়। চীনে শিশুরাও স্কুলে যেতে শুরু করে। জনসাধারন শহরের বাইরে গিয়ে তাদের কাজকর্ম শুরু করে দেয়। প্রাথমিকভাবে চীনের উহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছিল। জানা গেছে উহানে করোনা সংক্রমনের ছয় মাসের মধ্যেই প্রতিষেধক আবিষ্কারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে সেখানকার বিজ্ঞানীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রাথমিকভাবে বাঁদর এবং মানুষের ওপর ওই প্রতিষেধকের ট্রায়াল পরীক্ষাও করে চীন। এমনকি চীনের তরফে জানানো হয়েছিল আগামী বছরের মধ্যেই প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু লকডাউন শিথিল করার পরেই ফের নতুন করে বেজিংয়ের একাংশে করোনা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এমনকি জানা গেছে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় প্রতিদিন ১৫ হাজার করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

একটি প্রতিবেদন মারফত জানা গেছে চীনের উহান করোনার উৎসস্থল বলে প্রথম থেকেই প্রচারিত হয়েছে। চীনের ফের এই করোনা সংক্রমনের বিষয়টিকে তরঙ্গের দ্বিতীয় ঢেউ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ বেজিংয়ের প্রায় ১৫ টি আবাসন, নয়টি স্কুল এবং প্রতিটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র মারফত খবর নতুন করে যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তা একটি মাংসের বাজার থেকে শুরু হয়েছে। সাতজনকে জিনফাদি মিট মার্কেট থেকে করোনা সংক্রমিত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী গত বছর অগাস্ট মাস থেকে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। যদিও এই বিষয়টি চীন উড়িয়ে দিয়ে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেছে। কিন্তু গবেষকদের দেখা স্যাটেলাইট ইমেজ অনুযায়ী তাঁদের দাবি চীনে গত ডিসেম্বর থেকে নয় গত আগস্ট মাস থেকে সংক্রমণ ছড়ানো শুরু হয়। এই সমীক্ষাটিতে উহান হাসপাতালের চিত্র ব্যবহার করে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে গবেষকদের দাবি অনুযায়ী উহান হাসপাতলের পার্কিং লটে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় আগস্ট মাস থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ গাড়ি পার্ক করা হয়।

এমনকি সমীক্ষা করে দেখা হয় অগাস্ট মাস থেকেই জনসাধারণ করোনার উপসর্গ যেমন কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি নিয়ে উহান হাসপাতালে ভর্তি হয়। এমনকি এই সময় থেকেই হাসপাতলে একই উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রসঙ্গত চীন প্রতিষেধকের ট্রায়াল মানুষের শরীরের উপর করেছে এবং সেখানে বেশ কিছু শিশুর ওপর‌ও এই পরীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী ওই শিশুদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন প্রতিষেধক শরীরে ঢোকার পর থেকেই তাদের নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে চীনের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ২০২১- এর মধ্যেই করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার সম্ভবপর হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!