করোনা আবহে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে সরকার কি নড়বড়ে? মুখ্যমন্ত্রীর অতি তৎপরতায় বাড়ছে জল্পনা জাতীয় May 28, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে একমাত্র উপায় হচ্ছে লকডাউন। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। তবে পঞ্চম দফার লকডাউন থাকবে নাকি তুলে নেওয়া হবে, তা নিয়ে এবার মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের মত বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। বস্তুত, সম্প্রতি কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্য এবং তারপরেই এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের বৈঠক রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই জোট সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছে বলে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে তিন দলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। সরকার ঠিকমতই চলছে। জানা গেছে, এদিন তিন দলের মধ্যে জোটের অবস্থান ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নিজের বাংলোতে শরিক দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আর সেখানেই লকডাউন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেখানে করোনায় মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ভয়াবহ থাকায় পয়লা জুন থেকে যাতে লকডাউন তুলে না নেওয়া হয়, তার পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে টানা লকডাউন যাতে না হয়, তার জন্য মত পোষণ করেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং এনসিপির শরদ পাওয়ার। আর মুখ্যমন্ত্রীর লকডাউন প্রসঙ্গে এক মন্তব্য এবং সরকারের অন্যান্য শরিক দলের নেতাদের আর এক অনুভূতি এখন মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের অন্দরে ভাঙ্গন তৈরি করবে বলে দাবি করছে একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সরকারের ভেতরকার অনৈক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ বলেন, “তবে কি রাহুল গান্ধীর কথা শুনছে না কংগ্রেস জোটের সরকার?” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন তোলার পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারের তিন দলকে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তিন দলের পক্ষ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। এই সমস্ত কিছু অপপ্রচার। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে এনসিপির শরদ পাওয়ার বলেন, “সরকার ঠিকই চলছে। তবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বড্ড অস্থির হয়ে পড়ছেন।” অর্থাৎ ভেতরে ভেতরে লকডাউন নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে তিন দলকে কোণঠাসা করার পরেই তাদের ভেতরে কিছু হয়নি তা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠল মহারাষ্ট্রের সরকারে থাকা শরিকদলগুলো। তবে সত্যি সত্যিই সমস্যা তৈরি হয়নি, নাকি সেই সমস্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ প্রয়াস চালানো হচ্ছে! এখন তার দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -