এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনে কি শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা ঢেউ? নতুন করে আশঙ্কা শুরু বিশ্বজুড়ে!

চীনে কি শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা ঢেউ? নতুন করে আশঙ্কা শুরু বিশ্বজুড়ে!

করোনা সংক্রমণের মারাত্মক পর্যায় দেখা গিয়েছিল চীনের ইউহান প্রদেশে। একটা সময় চীনের ইউহান প্রদেশ করোনার ভরকেন্দ্র বলেই বিবেচিত হয়েছিল। পরে অবশ্য এই সংক্রমণ চীন ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রায় 200 টি দেশে প্রবলবেগে ছড়িয়ে পড়ে। এখনো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যখন অন্যান্য সব দেশে করোনা ভাইরাস এর প্রাবল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেই সময় চীন ঘোষণা করেছে, তাঁদের দেশ এই মুহূর্তে পুরোপুরি করোনার সংক্রমণমুক্ত।

যে লকডাউন শুরু হয়েছিল চীনে গত 23 শে ফেব্রুয়ারি, সেই লকডাউন সম্প্রতি 8 এপ্রিল তুলে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘোষণা করে এবার ইউহানের সবথেকে বড় অস্থায়ী হসপিটালটি বন্ধ করে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, 10 দিনের মধ্যে এই অস্থায়ী হসপিটাল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল। এর সাথে এই হসপিটালে কাজ করতে আসা হাজার খানেক স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে যে শেষ দলটি থেকে গিয়েছিলো, তাঁরা এদিন ইউহান ছেড়ে চলে গেলেন।

সূত্রের খবর, চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী হচ্ছে ইউহান বা উহান। যখন করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করতে শুরু করেছিল, ওখানে তখন রাতারাতি একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হয়। নাম দেওয়া হয় থান্ডার গড মাউন্টেন হসপিটাল। এই হসপিটালটি এদিন বন্ধ হয়ে গেল। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, এই হসপিটালটি 1000 বেড সম্পন্ন ছিল। এরকম আরও একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল উহানে বলে জানা গেছে। উহানের দুটি অস্থায়ী হাসপাতাল ছাড়াও চীন দেশে এরকম আরো 14 টি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সবগুলোই সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতসব কিছু করেও কি করোনা সংক্রমণের হাত থেকে চীন পুরোপুরি রেহাই পেল? খবর কিন্তু অন্য তথ্য তুলে ধরছে। শোনা যাচ্ছে, নতুন করে চীনে আবার করোনা সংক্রমণ ফিরে এসেছে। 77 দিনের লকডাউন এর শেষে নতুন করে আবার করোনা সংক্রমণ ফিরে আসায় যথারীতি আতঙ্কে চীনের অধিবাসীরা। প্রথম ভাগে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগণের সাথে প্রায় 3000 স্বাস্থ্যকর্মীও এই মারণ ভাইরাসের শিকারহয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, এই সংক্রমণ নতুন করে চীনের উত্তর পূর্ব রাশিয়ার সঙ্গে যে সীমান্তটি আছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন রাশিয়া সীমান্তের সুইফেন শহরটি এবার করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে নতুন করে। চীন সরকার অবশ্য দাবি করেছে, বিভিন্ন দেশে চীনা অধিবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করার পরেই নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যে চীন তাঁদের রাশিয়া সীমান্তে প্রবল কড়াকড়ি শুরু করেছে।

এমনকি অনৈতিকভাবে চীনে যদি কেউ প্রবেশ করে তাঁর খবর দিলে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করেছে চীন। অন্যদিকে, এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো প্রতিষেধক বেরোয়নি, তাই সে দিকে নজর রেখে বিশেষজ্ঞদের দাবি- দ্বিতীয়বার যদি করোনা সংক্রমণ  ফেরত আসে, তাহলে সেই লড়াই কিন্তু আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এই মুহূর্তে করোনা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে, প্রত্যেকটি দেশ ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই মারণ ভাইরাসকে আটকানোর। এবং এই যুদ্ধের অস্ত্র কোন প্রতিষেধক নয়, বরং অস্ত্র হিসেবে বাছা হয়েছে সতর্কতা এবং সচেতনতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!