এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পরিযায়ীদের হাত ধরে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ! বাংলায় নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে 2 বর্ধমান

পরিযায়ীদের হাত ধরে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ! বাংলায় নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে 2 বর্ধমান


যত দিন যাচ্ছে, ততই বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ভিন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। আর এখানেই প্রশাসনের চিন্তা বাড়ছে। বাইরে কাটানো সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই করোনা সংক্রমণ রাজ্যে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে‌। ইতিমধ্যেই 2 বর্ধমানের প্রায় 16 জন ব্যক্তি নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রমণের শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, এই 16 জন ব্যক্তির মধ্যে 10 জনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

যার মধ্যে 9 জন ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ফিরেছেন। সেই সমস্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। যার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে। মূলত এই মহিলাকে গর্ভপাতের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার তার নমুনা নেওয়ার পর সোমবার তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালের ডেপুটি স্পিকার কুনাল দে বলেন, “ওই মহিলার সংস্পর্শে আরো কত জন চিকিৎসক ও নার্স এসেছেন, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সবারই পরীক্ষা করা হবে।” এদিকে সোমবার বর্ধমান পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের গোডাউন পাড়ায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট আসে। একইভাবে গলসির শিউরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিক্রমপুর গ্রামেও এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মেমারি টু ব্লকের সাতগেছিয়া এবং বড়পলাশন টু গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়পলাশন গ্রামেও দুজন পরিযায়ী শ্রমিকের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ বলেন, “মেমারিতে দুইজনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” এছাড়াও পূর্বস্থলী ওয়ান ব্লকের মাগনপুর, জামালপুরের জৌগ্রাম, রায়না ব্লকের শ্যামসুন্দর অঞ্চলের মাদনাগড় সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে।

যার ফলে দিনকে দিন চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে। আর গোটা বর্ধমান জেলা জুড়ে যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন, ঠিক তখনই প্রায় প্রতিদিন তাদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমত ঘুম উড়তে শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কতটা তৎপরতা গ্রহন করা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!