এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে পা দিতেই দ্বিগুণ হারে করোনা সংক্রমণ, লাফিয়ে বাড়ছে কনটেন্টমেন্ট জোন!

পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে পা দিতেই দ্বিগুণ হারে করোনা সংক্রমণ, লাফিয়ে বাড়ছে কনটেন্টমেন্ট জোন!


হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। ভিন রাজ্যে থেকে রোজগার না হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসার জন্য অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আটকে থাকা সেই সমস্ত শ্রমিকদের স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম থেকেই একসাথে এত শ্রমিক যদি ফিরে আসে, তাহলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কাকে সত্যি করেই ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যের 14 টি জেলার মধ্যে এই কনটেইনমেন্ট জোন সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 19 টি জেলাতে। পাশাপাশি বর্তমানে এই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে 718 হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।

আর হঠাৎ করেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের এই হু হু করে ঢুকে পড়াকেই দায়ী করছে একাংশ। এক্ষেত্রে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে সীলমোহর জানিয়ে বলছেন যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের একবারে না এনে ধীরে ধীরে আনাই শ্রেয় ছিল। এক্ষেত্রে একবারে তারা রাজ্যে এসে পড়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। বস্তুত, এখনও পর্যন্ত কলকাতায় করোনা এফেক্টেড জোনের সংখ্যা 286 টি। আর তার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে করোনা এফেক্টেড জোনের সংখ্যা 144 টি। এছাড়াও জেলাগুলোর দিকে তাকালে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে। যেখানে দক্ষিণ 24 পরগনা 34, হুগলিতে 29, নদীয়ায় 24, পূর্ব মেদিনীপুরে 14, পশ্চিম মেদিনীপুরে 14, পূর্ব বর্ধমানে 19,স পশ্চিম বর্ধমানে 1, মালদায় 20, জলপাইগুড়িতে 2, দার্জিলিংয়ে 2, কালিম্পংয়ে 2, উত্তর দিনাজপুরে 21, দক্ষিণ দিনাজপুরে 2, মুর্শিদাবাদে 3, বাঁকুড়ায় 15 এবং বীরভূমে 10 টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে।

আর এর প্রধান কারণ, একের পর এক এই সমস্ত এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসায় সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আর তার ফলেই এলাকাগুলোকে কনটেইনমেন্ট জোন করে দিয়েছে সরকার। আর এভাবেই যদি পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে ফিরে আসতে শুরু করেন এবং তার ফলে যদি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেদিক থেকে কিভাবে গোটা পরিস্থিতিকে সামলানো যাবে, এখন তা প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তাই হয় এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের কিছুদিনের জন আসা স্থগিত রাখতে হবে, না হলে সরকারকে আরও কঠোর হাতে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। ফলে সরকার এই ব্যাপারে এখন কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। ‌

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!