এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > করোনা-ডেঙ্গুর মাঝেই বাংলার আকাশে উঁকি মারছে নতুন বিপদ! গত ছ’মাসের পরিসংখ্যান ঘুম ওড়াচ্ছে!

করোনা-ডেঙ্গুর মাঝেই বাংলার আকাশে উঁকি মারছে নতুন বিপদ! গত ছ’মাসের পরিসংখ্যান ঘুম ওড়াচ্ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনার দাপট কবে কমবে সে সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার মধ্যে রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি চরমে। উদ্বিগ্ন সব মহল। অন্যদিকে করোনার পাশাপাশি রাজ্যে হানা দিয়েছে বর্তমানে ডেঙ্গু। করোনা আক্রান্তের নিরিখে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যার ফলে রাজ্যজুড়ে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে অন্যত্র। কারণ এবার করোনা, ডেঙ্গুর হাত ধরে পাশাপাশি রাজ্যে হাজির হয়েছে যক্ষ্মা।

সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দেখা যাচ্ছে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যক্ষ্মায়।  ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের যক্ষ্মা আক্রান্তদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশের অভিমত, করোনা আবহে সাবধানতা হেতু লকডাউন চলায় জেলার সমস্ত ব্লকে নিয়ম করে যক্ষ্মা পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে 2000 এর আশেপাশে পৌঁছে গিয়েছে।

যদি ঠিকঠাক ভাবে পরীক্ষা হতো তাহলে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেড়ে যেত বলে মত স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশের। এ প্রসঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিটিও শক্তিপদ মুর্মু জানিয়েছেন, যক্ষ্মা আক্রান্তদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপ চালু আছে বর্তমানে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগীদের ওপর নজর রাখা হয়। শুধু তাই নয়, যক্ষ্মা রোগীদের সঠিকভাবে ওষুধ খাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ছ মাসের মধ্যে যদি সঠিক নিয়ম মেনে চলেন কোনো যক্ষ্মা রোগী তাহলে যক্ষা রোগী সুস্থ হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত দু’মাসে বেড়ে গেছে প্রায় 300 জন। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফিরে আসা এর পেছনে একটা বড় কারণ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাস থেকে 22 শে জুন পর্যন্ত এই জেলাতে অন্তত 2123 যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে, যক্ষ্মা যে এই জেলায় বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছে সে কথা স্পষ্ট। অন্যদিকে গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2018 সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যেখানে ছিল 5400 জন যক্ষ্মা আক্রান্ত, সেখানে 2019 সালে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 5500 জন। অর্থাৎ যক্ষ্মা ছবির বিশেষ কিছুই হেরফের হয়নি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে মোট 56 টি জায়গা আছে যেখানে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করা হয়। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির নাম, মোবাইল নাম্বার, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি নথিভূক্ত করা হয়।

এবং আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে পুষ্টিকর খাবার খান তার জন্য প্রত্যেক মাসে 500 টাকা করে তাঁর অ্যাকাউন্টেও পাঠানো হয় বলে খবর। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয় যক্ষা নিরাময়ের জন্য সেই ওষুধ ঠিকঠাক রুগীরা খাচ্ছে কিনা তার ব্যাপারে নজর রাখার জন্য বিশেষ অ্যাপ আছে এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা ও প্রতিনিধিরাও যক্ষ্মা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে সঠিক ও সম্পূর্ণ খবর দেন বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যেভাবে করোনার থেকে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে বিপুল হারে তা যদি এখনই আটকানো না যায়, তাহলে পরবর্তীকালে বিপদে পড়তে হতে পারে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে। অন্যদিকে যক্ষা আক্রান্তের সংখ্যা এত বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে সে কথা বলাইবাহুল্য। আপাতত ডেঙ্গু করোনার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যক্ষ্মা বৃদ্ধি আটকানোর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, সে দিকে নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!