করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনাতেও বড়সড় দুর্নীতি? অভিযোগ জমা পড়ল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসের সংকটকালে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে। আর এবার করোনা মহামারী সামাল দিতে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তাতেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করল। যে অভিযোগ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়েছে বলে খবর। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত 21 হাজার লক্ষ পিপিই, 15 লক্ষ 66 হাজার n95 মাস্ক, 70 লক্ষের বেশি অন্যান্য মাস্ক এবং 40 লক্ষের বেশি গ্লাভস ও আড়াই লক্ষ লিটার স্যানিটাইজার রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও দৈনিক 32 হাজারের বেশী সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর। রাজ্য সরকারি হিসাব অনুযায়ী করণা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার সিংহভাগ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবারের চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠল। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই অভিযোগ জমা পড়তেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জমা পড়ার পর স্বাস্থ্যসচিবের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং নারায়ন স্বরূপ নিগমকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কিন্তু এবার করোনা মহামারী ইস্যুতে সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যেভাবে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাতে শাসকদলের চাপ ক্রমশ বাড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে কমিটি গঠন করে গোটা ব্যাপারটিকে বাগে আনার চেষ্টা করছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এখন তদন্তে কি উঠে আসে এবং তার ফলে রাজ্য কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -