করোনায় কুপোকাৎ! তার উপরে আছড়ে পড়ল পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী টাইফুন, বিপদে ১০ লক্ষ মানুষ? আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর November 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বছরটা যেন বিষে বিষ। বছরের শুরু থেকেই একটা না একটা বিপদ লেগেই রয়েছে বিশ্ববাসীর উপরে। যেখানে বছরের শুরুর দিকেই মহামারীর প্রকোপে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক মৃত্যুসংবাদ মানুষকে স্তব্ধ করেছে। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়েছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। এই অর্থনীতিকে আবার পুনরায় চাঙ্গা করতে আরো যে কত সময় লাগবে সেই কথা ভেবে চিন্তায় রয়েছে অর্থনীতিবিদরা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে বিভিন্ন দেশ। যেখানে কিছুদিন আগেই তুরস্কে ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে ভারতবর্ষেও আম্পানের প্রকোপ গৃহহারা করেছে বহু মানুষকে। শুধু তাই নয়, এদেশে বাংলার উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র, গুজরাট বিভিন্ন রাজ্যেই দুর্যোগের ঘনঘটা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলার অতি প্রিয় দুর্গাপুজোতেও পড়েছিল মলমাসের প্রকোপ। তবে আজ সকালে সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার টাইফুন গনির সাক্ষী থেকেছে ফিলিপিনস দেশের পূর্ব প্রান্ত। যেখানে টাইফুনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে তার প্রকোপ যে এখনো কাটেনি সেকথাও জানা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সুপার টাইফুন হাইওয়ানে আছড়ে পড়েছিল। ২০১৬ সালে সুপার টাইফুন মেরান্টিও তান্ডব চালায় এখানে। কিছুদিন আগেই মেলাভের প্রকোপে প্রায় ২২ জনের প্রাণ গিয়েছিল বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে এই সুপার টাইফুন নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিল ফিলিপিন্স প্রশাসন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, মানুষকে আগেই সতর্ক হয়েছিল ফিলিপিন্স প্রশাসনের তরফে। তাই ২৪ ঘণ্টা আগেই বন্ধ করা হয় বিমানবন্দর। সেইসঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়। ফলে প্রশাসনের আশা ছিল কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে। পূর্বাভাস আগেই ছিল। জানা গেছে, পূর্বাভাস মতোই আজ ভোররাতে ফিলিপিন্সের ক্যাটানডুয়ানসে গনির ল্যান্ডফল হয়। ল্যান্ডফলের সময় গনির গতি ঘণ্টায় ২৮০ কিলোমিটার ছিল বলে জানা যায়। তবে এতক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পর আপাতত তার গতি ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার রয়েছে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এর সর্বাধিক গতি ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে তা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ গতি হিসেবেই পরিচিত হত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফিলিপিন্সে টাইফুন নতুন ঘটনা নয়। প্রতি বছরই ভয়ানক টাইফুন হয় এখানে। তবে এবারের টাইফুন নিয়ে কিন্তু সরকারের চিন্তার ভাগ বেশি ছিল। কারণ সে দেশের আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছিল এর আগে এরকম ল্যান্ডফল সে দেশের বাসিন্দারা দেখেনি। তাও ঝড়ের চোখ ও অন্তরভাগ এখনও দেশের মধ্যে প্রবেশ করেনি। ফলে সে সময় যে কী ক্ষতি হবে, তা ভেবেই আতঙ্কে ছিলেন বাসিন্দারা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী ১২ ঘণ্টা অর্থাৎ রবিবার রাত বা সোমবার সকালের মধ্যে সুপার টাইফুনটি ফিলিপিন্সকে অতিক্রম করে যাবে। তার আগে সেটি অ্যালবে, লুজন, মেট্রো ম্যানিলাতে প্রভাব দেখাবে বলেও জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের রাজধানীতেও প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানা গেছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জনজীবন স্তব্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -