এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার ‘হুলে’ আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ উপরে ফেললেন সরকারি অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের খুঁটি!

করোনার ‘হুলে’ আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ উপরে ফেললেন সরকারি অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের খুঁটি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা একটি সংক্রমিত রোগ। সমস্ত রকম জমায়েত করতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। চলছে লকডাউন। আর এই পরিস্থিতিতে হুল দিবস চলে আসায় তার জন্য প্যান্ডেল বাধা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারাই রীতিমত করোনা ভাইরাসে আতঙ্কের জন্য এবার সেই প্যান্ডেল খুলে দিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার হুল দিবস। যার অঙ্গ হিসেবে ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের হুল দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য ঝাড়গ্রাম রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেচোন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছিল। 30 জুন এবং পয়লা জুলাই দুই দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে খবর। যেখানে 30 জুন দুপুর দুটো থেকে আদিবাসী প্রথা অনুযায়ী হুল দিবস পালন, সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস প্রদর্শনী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা জানানোর প্রক্রিয়া ছিল।

শনিবার থেকে সেই মাঠে প্যান্ডেল বাধার কাজ শুরু হয়। আর যখন করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব পালন করতে বলা হচ্ছে সরকারের তরফে, তখন কেন এত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সাধারন মানুষ সেই প্যান্ডেল খুলে দেন। জানা যায়, এদিন সকালে মহিলারা পুলিশের সামনেই সেই প্যান্ডেলের খুঁটি উপড়ে ফেলেন। আর সাধারন মানুষ যেভাবে প্রশাসনের উদ্যোগে করা এই অনুষ্ঠান বাধা দিলেন, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে বিস্তর সচেতনতা রয়েছে। আর তাই নিজেদের জীবন বাঁচাতে এখন কোনোরকম অনুষ্ঠান যে তারা মানবেন না, তাদের কাছে যে সব থেকে আগে তাদের জীবন, তা এই প্রতিবাদেই স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় ঝাড়্গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায় এসে সাধারণ মানুষকে বোঝালেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে সাধারনের প্রতিবাদের জন্য এই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল খুলতে বাধ্য হন ডেকোরেটর্সরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, “আগেও এখানে হুল দিবসের অনুষ্ঠান হয়েছে। তখন সহযোগিতা করেছি। এবারে করোনার ভয় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কেউ যাচ্ছে না। এখন অনুষ্ঠান হলে বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন আসবে, তাতে সংক্রমণ বাড়বে। হুল দিবসের পূজার নিয়ম মাফিক হোক, 25- 30 জন মিলে করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এভাবে প্যান্ডেল বেঁধে অনুষ্ঠান করতে দেব না।”

একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই! সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, কোনো রকম সামাজিক অনুষ্ঠান বা জমায়েত করা হবে না, সেখানে কেন হুল দিবসের অনুষ্ঠানকে বেছে নিয়ে এত বড় জমায়েত করছে প্রশাসন! এক্ষেত্রে যদি সাধারন মানুষ বাধা দেয়, তাহলে তো তারা খুব একটা ভুল করেনি! প্রশাসন বলছে, সচেতনতার কথা। সেখানে মানুষ সচেতন হয়ে যেভাবে প্রশাসনের মুখোশ খুলে দিলেন, তাতে ঝাড়্গ্রাম জেলা প্রশাসন অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশ রানি এ বলেন, “মানুষজন চাইছে সেখানে নিয়ম করে পুজো হোক। আমরা সেরকমই আয়োজন করেছিলাম। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কম সংখ্যক লোক নিয়ে অনুষ্ঠান করা হত। কিন্তু মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে স্থির হয়েছে, সেখানে শুধু পুজো হবে এবং জেলার সিধু কানু হলে অনুষ্ঠান করা হবে।” সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের সচেতনতার কারণে মানুষের বিক্ষোভে রীতিমত সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করতে হল জেলা প্রশাসনকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!