করোনা ইস্যুতে তিন জেলার জেলাশাসককে কড়া ধমক মমতার! জেনে নিন! রাজ্য হাওড়া-হুগলি April 1, 2020 ভয়াবহ করোনা ভাইরাসকে আটকাতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিনিয়ত বৈঠক করে কোথায় কি পরিস্থিতি, তা জানবার চেষ্টা করছেন। ভাইরাসকে আটকাতে যাতে কোনো খামতি না থাকে, তার জন্য প্রতি মুহূর্তে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা 2 জন। আর এমত পরিস্থিতিতে যাতে সামনের দিনের জন্য প্রস্তুত থাকা যায় এবং করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া যায়, তার জন্য সোমবার নবান্ন থেকে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের তিন জেলার জেলাশাসককে কড়া ভাষায় ধমক দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসককে ভৎসনা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যেখানে বৈঠকের শুরুতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের হাসপাতাল চত্বরে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হওয়া নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মেদিনীপুর হাসপাতালের জায়গা খুব কম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। আয়ুষ হাসপাতালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা তৈরি করা হোক। অল্পের মধ্যে দায়সারা ভাবে কাজ করলে একজন রোগী থেকে চিকিৎসক এবং নার্সদের সংক্রমিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে।” একইভাবে এই ইস্যুতে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককেও কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আইসোলেশন ওয়ার্ড যেন আলাদা ভাবে তৈরি হয়।” শুধু তাই নয়, ঝাড়গ্রাম জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নেই শুনেও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর ঝাড়গ্রামের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সম্প্রতি দু হাজার শ্রমিক অন্য রাজ্য থেকে প্রবেশ করায় জেলা শাসকের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বস্তুত, লকডাউন করা সত্ত্বেও অন্য রাজ্য থেকে যাতে কোনো শ্রমিক না ঢুকতে পারে, তার জন্য কেন্দ্রের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার সেই নির্দেশ অমান্য করে যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় প্রচুর শ্রমিক প্রবেশ করেছেন, তাতে যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকেই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। সব মিলিয়ে পরিকাঠামোগত ত্রুটি দেখেই তিন জেলার জেলাশাসককে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। আপনার মতামত জানান -