করোনা আবহে চূড়ান্ত নাটকীয় অবস্থা! জগন্নাথদেবের ভাগ্য এখন আদালতের হাতে! উৎকন্ঠা বাড়ছে ভক্তদের অন্যান্য জাতীয় রথযাত্রা June 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিহাসে বহুবার পুরীর ঐতিহাসিক রথযাত্রা বাতিল হয়েছে। তবে সম্প্রতিককালে এই ঘটনা বিরল। বহু ঘাত প্রতিঘাতেও ইদানীংকালে থামেনি পুরীর রথের চাকা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের তান্ডবে সেই অসম্ভবও এখন সম্ভব। অন্তত এই মুহূর্ত অব্দি এটাই সত্য যে আগামীকাল, মঙ্গলবার হচ্ছে না রথ যাত্রা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এবার গড়াচ্ছে না পুরীর রথের চাকা। কিন্তু রথযাত্রার ঠিক এক দিন আগে ফের জট। একাংশ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে মানতে নারাজ। তাদের মতে, রাজ্য সরকার আদালতকে ভুল বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত পাশ করিয়েছে। অনেকেরই বক্তব্য, এ বারেও ১০-১২ লক্ষের ভিড় হবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী তো রথযাত্রা বানচাল করতে রাজ্য সরকারের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেবও অনুষ্ঠানের ঘনঘটা কমালেও রথযাত্রার আচার অলঙ্ঘনীয় বলে মনে করেন। জগন্নাথ-সংস্কৃতির পরম্পরা অনুসারে, রথযাত্রা তাই আবশ্যক বলেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছেন উৎকলের জগন্নাথ-অনুরাগীরা। কালকে রথ। আর আজকে এই ব্যাপারে বেলা ১১ টায় আদালতের রায় দেওয়ার কথা রয়েছে এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রথযাত্রার বিকল্প নিয়ে জল্পনায় ভুবনেশ্বরের শ্রীজগন্নাথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সভাপতি সুরেন্দ্রনাথ দাসও চিন্তিত। তিনি বলছেন, “শীর্ষ স্তরের সেবায়েত বা মন্দির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তাব, অনশরপেন্ডি থেকে শ্রীবিগ্রহ প্রথমে কিছু দিন মন্দিরের ভিতরে ভোগমণ্ডপে বা অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে রাখা যেতে পারে। ১২ দিন পরে মন্দিরের ভিতরেই আচার-অনুষ্ঠান সেরে তিনি ফিরবেন।” রথ যাত্রা হওয়া কতটা জরুরি তা বোঝাতে অনেকে পুরাণকেও হাতিয়ার করেছেন। সুরেন্দ্রনাথ দাস আরও বলেছেন, “ভক্তদের থাকার দরকার নেই। কিন্তু জগন্নাথদেবের জন্যই রথযাত্রা জরুরি। তিনি মন্দিরে আছেন, অথচ রথে বেরোচ্ছেন না, এমন কখনও হয়নি।” সম্বিত পাত্রও রথযাত্রার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে রথের চাকা যাতে গড়ানো যায় সে ব্যাপারে আর্জি পেশ করেছেন।রবিবার রাত পর্যন্ত শ্রী মন্দিরে রথযাত্রার আগের সব অনুষ্ঠানই অবশ্য সুসম্পন্ন। বিগ্রহে রং লেপে নেত্রদানের অনুষ্ঠানও সম্পূর্ণ। জগন্নাথ দয়িতাপতি, রামচন্দ্র দয়িতাপতিরা বলছেন, “সোমবার সকালে ভোগের পরে প্রভুর আজ্ঞামালা যাবে রথে। তা হলে তো রথ করতেই হবে!” আপনার মতামত জানান -