এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা কালে জিডিপি নেগেটিভ গ্রোথে গেলেও অর্থমন্ত্রককে দিশা দিচ্ছে বহু সেক্টরের ঘুরে দাঁড়ানো?

করোনা কালে জিডিপি নেগেটিভ গ্রোথে গেলেও অর্থমন্ত্রককে দিশা দিচ্ছে বহু সেক্টরের ঘুরে দাঁড়ানো?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছর দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও করোনা সংক্রমনের কারণে লকডাউন বলবৎ থাকায় দেশের জিডিপি ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবর্ষের জিডিপির একটি রিপোর্টে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।এই রিপোর্টই ছিল চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের রিপোর্ট। দেশের প্রথম তিন মাসের জিডিপি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দেশের জিডিপির এই ঋণাত্মক অবস্থায় চলে যাওয়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিধ্বস্ততাকে বারবার আঙ্গুলি নির্দেশ করছে। কিন্তু তবুও বিদ্ধস্ত এই অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত সোমবার যে জিডিপির রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে সেটি চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম তিন মাসের জিডিপির রিপোর্ট ছিল। প্রসঙ্গত, এই তিনমাস দেশে ছিল সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন। এ কারণে এ সময় জিডিপি কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপর আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

সূত্রে জানা যাচ্ছে বর্তমানে আনলক পরিস্থিতিতে সারাদেশেই বিভিন্ন কলকারখানার উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সমস্ত শিল্প কারখানার উৎপাদন এর হার বা পিএমআই এপ্রিল মাসে ছিল ২৭ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। আর আগস্ট মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫২%। এভাবে শিল্পের ক্রমশ অগ্রগতিতে আসার আলো দেখতে পাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন,
” চরম আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এসেছি আমরা। এখন ধীরে ধীরে আবার অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে। সেই প্রবণতা শুরুও হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই উৎপাদন ক্ষেত্রের এই ইতিবাচক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। আর এ কাজ করতে গিয়ে কেন্দ্র মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এবং দেশে যখন-তখন লকডাউন ঘোষণা না করার নির্দেশ জারি করেছে। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, টেলিকম, ভোগ্যপণ্য, পরিষেবা ক্ষেত্র থেকেও অর্থনীতির এগিয়ে যাবার বার্তা প্রকাশ পেয়েছে। সবকিছুকে লক্ষ্য করেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক দেশের অর্থনীতির উত্তরণের বিষয়ে আশাবাদী।

কেন্দ্রীয় সরকারি ভাবে আশার আলো দেখতে পেলেও ভারতের অর্থনীতি যে খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে এমন আশা অনেকেই করতে পারছেন না। কারণ গতকাল মঙ্গলবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিসার্চ গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, চলতি অর্থ বর্ষের শেষে দেশের সামগ্রিক জিডিপির হার ১০.৫০% পর্যন্ত ঋণাত্মক হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। আর এর ফলেই এই অর্থ বর্ষের আগামী তিনটি ত্রৈমাসিক জিডিপি রিপোর্টেও দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ঋণাত্মকই থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!