এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা কালে খুশির হাওয়া তন্তুজই, জেনে নিন কারণ !

করোনা কালে খুশির হাওয়া তন্তুজই, জেনে নিন কারণ !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আর এই দূর্গাপূজাতেই প্রতিবছর কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। দোকানে দোকানে দেখা যায় শাড়ির সমারোহ। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি বেশ অন্যরকম। করোনার ভয়াবহতায় মানুষ এখনও আতঙ্কিত। অন্যদিকে করোনার সময় থেকেই মানুষের আর্থিক ভীতিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে কেনাকাটাতে এবার ততটা উচ্ছ্বাস বা ভিড় চোখে পড়ছে না। অন্যদিকে, পুজোর মুখে গ্রাহকদের হাতে নতুন শাড়ি তুলে দেবার জন্য তাঁতীপাড়ায় বহু আগে থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। ফুলিয়া, ধনেখালি, সমুদ্রগড় এর তাঁতের পাশাপাশি বাংলার নিজস্ব বিষ্ণুপুরী সিল্ক থেকে বালুচরী সমস্তই তৈরি হওয়া শুরু হয়।

কিন্তু এবছর লকডাউন এবং করোনার কারণে বাংলার তাঁত শিল্পীরা পড়েছেন অত্যন্ত অসহায়তার মুখে। শাড়ি তৈরি করলেও সেভাবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। তাই তাঁতীদের জন্য এবার এগিয়ে এলো রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, তাঁত শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের বস্ত্রশিল্পীদের কাছ থেকে প্রায় 8 কোটি টাকার শাড়ি কিনেছে তন্তুজ। যা গত বছর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বেশি। ফলে বাংলার উৎসব কালে তাঁত শিল্পীদের মুখেও হাসি ফুটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত পুজোর আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ধরে নিয়ে বাংলার তাঁত শিল্পীরা শুরু করেন শাড়ি তৈরির কাজ। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই বোঝা গেছে এ বছর শাড়ির চাহিদা সেরকম নেই।

বিদেশেও রপ্তানি করা যাচ্ছেনা শাড়ি। পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও সেরকম চাহিদা নেই। এদিকে শাড়ি ও তৈরি হয়ে গেছে বহু। এই অবস্থায় রাজ্যে তাঁত শিল্পীদের কাছে মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিল তন্তুজ। এমনিতেও প্রতি বছর পুজোর আগে শিল্পীদের কাছ থেকে সরাসরি শাড়ি কেনার জন্য তন্তুজ গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে। এছাড়াও সমবায় সমিতির মাধ্যমেও শাড়ি কেনে তন্তুজ। এবারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুভাবেই শাড়ি কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বছর রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে মোট 6 কোটি 25 লক্ষ টাকার শাড়ি কেনা হয়েছিল। জেলায় জেলায় ক্যাম্প করে প্রায় 75 লক্ষ টাকার শাড়ি কিনেছিল তন্তুজ। সমবায় সমিতির কাছ থেকেও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার শাড়ি কেনা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে এবছর মোট 7 কোটি 69 লক্ষ 34 হাজার 700 টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে। এরমধ্যে সমবায় সমিতির মাধ্যমে কেনা হয়েছে 6 কোটি 72 লক্ষ 71 হাজার 708 টাকার শাড়ি। এবং জেলায় জেলায় ক্যাম্প করে এবছর 96 লাখ 63 হাজার টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে। তারমধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে 35 লক্ষ 56 হাজার টাকার শাড়ি, পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম থেকে 32 লক্ষ 60 হাজার টাকার শাড়ি, নদীয়ার ফুলিয়া শান্তিপুর থেকে 25 লক্ষ 67 হাজার টাকার শাড়ি, হুগলি, ধনেখালি এবং বেগমপুর থেকে এক লক্ষ ঊনআশি হাজার টাকার শাড়ি এবং হাওড়া থেকে এক লক্ষ এক হাজার টাকার শাড়ি শিল্পীদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হয়েছে তন্তুজের পক্ষ থেকে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, প্রধানত মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তন্তুজ লাভের মুখ দেখেছে। তাঁর নির্দেশেই সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর হারিয়ে যাওয়া বাংলার বালুচরী শাড়ির ডিজাইন পুনরুদ্ধার করেছে তন্তুজ। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার তাঁত শিল্পীদের সাহায্য করতে প্রায় 8 কোটি টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক উদ্যোগ দেখে স্বাভাবিকভাবেই তাঁত শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে।

করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই আর্থিক পরিস্থিতি তলানীতে। তার ওপর শাড়ি তৈরি করে যদি বিক্রি করা না যেত, তাহলে আরো বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতো সাধারণ গরিব তাঁতী মানুষদের। তাই সেই পরিস্থিতি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তন্তুজের মাধ্যমে বাংলার তাঁত শিল্পীদের বাঁচিয়ে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছরই তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে শাড়ি কেনে তন্তুজ। এ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে একটু বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!