করোনা কালে কিভাবে পঠন-পাঠন চলবে স্কুল ও কলেজে? বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ নবান্নের বিশেষ খবর রাজ্য October 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের শুরুতে একবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য একাধিক কঠোর নির্দেশ মেনে স্কুলের দরজা খোলা হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন তা সম্ভব হয়নি। সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আবার বন্ধ করে দেয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অবশেষে আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সংক্রমণ এখনো চলে যায়নি। করোনা সংক্রমনের মধ্যে কিভাবে স্কুল-কলেজ চলবে? তা নিয়ে একটি বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করল নবান্ন। আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণকালে কিভাবে স্কুল, কলেজ খোলা হবে? কিভাবে স্কুল-কলেজের পঠন-পাঠন চালানো হবে? এই বিষয় নিয়ে একটি বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত যা প্রকাশ করা হলো। করোনা সংক্রমণ থাকার জন্য কিছু কঠোর নির্দেশ রয়েছে এই গাইডলাইনে। এই গাইডলাইনে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৩১ সে অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত স্কুল পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে ফেলতে হবে। আগামী ১লা নভেম্বর থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে উপস্থিত থাকতে হবে। সেদিন থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদেরও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য শিক্ষক, শিক্ষিকা অথবা অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা যাতে সমস্যাতে না পারেন, সে জন্য তাদেরকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এই পাস ইস্যু করতে পারবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্কুল কলেজের হোস্টেল খোলা যাবে। তবে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে তা করতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে হোস্টেলে অবশ্যই রাখতে হবে আইসোলেশন রুম। গাইডলাইনে জানানো হয়েছে যে, স্কুলে বা কলেজে আসার সময় কোনো শিক্ষার্থী আংটি, বালা, হার বা কোন গয়না পরে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না। ক্লাসের বাইরে প্রার্থনা করানো যাবে না। ক্লাসে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ক্লাসে সব সময় একজন শিক্ষক অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন। স্কুলে কোনো অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবেন না। স্কুলের মধ্যে কোনরকম খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। কলেজ ক্যাম্পাসে সচেতনতামূলক পোস্টার ব্যবহার করতে হবে। কলেজ ক্যাম্পাসে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। বাইরে থেকে কেউ যদি ক্যাম্পাসে আসেন, তবে আগে তাকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে, শিক্ষামূলক ভ্রমণ ও ফিল্ডওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। স্কুলের গেট করিডোরের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী গোলদাগ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্কুলে সমস্ত রকম জাঙ্কফুড খাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে, পানীয় জল হোক বা বই, খাতা হোক, তা কাউকে দিতে বা নিতে পারবে না। এভাবেই স্কুল ও কলেজ খোলার খোলা ও চালাবার ব্যাপারে বেশ কিছু কঠোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এই নির্দেশগুলি যাতে উপযুক্ত ভাবে মান্য করা হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হবে বলে, জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -