প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা যুদ্ধে সফল হতে মানুষের যেমন প্রয়োজন চিকিৎসাব্যবস্থার, সেরকমই তার প্রয়োজন মনোবলের। কারণ মনের জোরে অনেক সময় অনেক বড় বিপদ উতরে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই ভয় না পেয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যে দেশে করোনা রুখতে বড় ধরনের অবদান আছে, সে কথা সম্প্রতি জানা গেছে একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়। সেখানে বলা হয়েছে ভারতবর্ষের মানুষের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সমস্ত কার্যকলাপ করেছিলেন, তাতে যথেষ্ট কাজ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে যখন করোনা থাবা বসাতে শুরু করেছে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে ভারতের মতো বিশাল জনআয়তনের একটি দেশে প্যানডেমিক যদি অন্যান্য দেশে যেভাবে ছড়িয়েছে সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তবে তার পরিণাম হবে বিশাল এবং তা থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোন উপায় থাকবেনা। তাই প্রথমেই প্রয়োজন রোগের চিকিৎসা করা। আর সেই পরীক্ষাতেই প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে উতরে গেছেন বলে জানা গেছে।

প্রথমত কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের প্রথমেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বারবার জনসমক্ষে আসতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে ঘরে থেকে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে একত্রিত হয়ে সামনের সারিতে কাজ করা সাধারণ মানুষদেরকে বিভিন্ন কার্যপ্রণালী দ্বারা উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। আর যেগুলোকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একাধিকবার টিভিতে বার্তা দেওয়ার মৃদু ধাক্কা বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই সমীক্ষায়। আর তাতেই নাকি সর্বাধিক কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের মতো এমন এক দেশে যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যেকোনো পরিকাঠামোই গড়ে তোলা বেশ সময় সাপেক্ষ, সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাটা বড় ব্যপার, এমন পরিস্থিতিতে করোনার মহামারীকে রুখে দেওয়া যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বারবার জনতার সামনে আসা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ফ্যাক্টর। যা জনগণের মধ্যে লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। তবে শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে “পিএম কেয়ার ট্রাস্ট” যথেষ্ট সাহায্য করেছে দেশের মানুষের। তাই এখানে প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে শুধু তাই নয় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্থ থাকতে যোগর পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চর্চার কথাও তিনি জানিয়েছেন, যা কিনা ভারতের সংস্কৃতির ঐতিহ্যশালী সম্পদ। আর এত কিছুর মাধ্যমে ভারত করোনার মতো ভয়ঙ্কর মহামারীকে আংশিকভাবে আটকাতে সফল হয়েছে বলেই জানা গেছে সেই রিপোর্টে।