এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করোনা কালে পুজোর শেষে তৃণমূল নেতাদের জনসংযোগের জন্য নতুন পরিকল্পনা পিকের? জানুন বিস্তারে

করোনা কালে পুজোর শেষে তৃণমূল নেতাদের জনসংযোগের জন্য নতুন পরিকল্পনা পিকের? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলসহ অন্যান্য দলগুলি বিশেষ নজর দিচ্ছে তাদের সাংগঠনিক পরিধি বাড়িয়ে তোলার দিকে। তবে সাংগঠনিক পরিধি বাড়ানোর জন্য অন্যতম হাতিয়ার হল জনসংযোগ। আর সেদিকে নজর দিয়েই এবার করোনা আবহে তৃণমূল নেতাদের জন্য জনসংযোগের নতুন পরিকল্পনা তৃণমূলের অন্যতম ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের। বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু তার মধ্যেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আপাতত রাজ্যজুড়ে প্রায় 600 সভার পরিকল্পনা করেছে দলীয় নেতৃত্ব।

এই কর্মসূচিতে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তত দুটি করে সভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। কালী পুজোর পর থেকেই এই কর্মসূচি সফল করার জন্য উঠে পড়ে লাগতে চলেছে তৃণমূল শিবির বলে খবর। সাধারণত দুর্গাপুজোর পর প্রত্যেক বছর শাসক দলের পক্ষ থেকে জনসংযোগ হেতু বিজয়া সম্মেলনী করা হয়। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি অন্য। আবার করোনার সাথে সাথে মাথায় রাখতে হচ্ছে, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন, তাই অত্যন্ত প্রয়োজন জনসংযোগের। সবকিছু চিন্তা করেই জেলাস্তরে এবার নির্দেশিকা দিয়ে সভা করার কথা বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিটি কর্মসূচির ছবি এবং ভিডিও সংশ্লিষ্ট এলাকার সংস্থার প্রতিনিধি মারফত দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, করোনা বিধিনিষেধ মাথায় রেখেই দলীয় কর্মসূচি হতে চলেছে। সূত্রের খবর, কর্মসূচির প্রথম পর্বে প্রত্যেকটি বিধানসভা পিছু দুই অথবা প্রয়োজনে তার বেশি সভা করতে চলেছে দলের জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক ভারপ্রাপ্ত নেতারা। প্রতিবছর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা, কর্মী, সাধারন মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রত্যক্ষভাবে। কিন্তু এবছর সঙ্গত কারণেই সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তবে জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হবে আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকে। যদিও করোনার আশঙ্কা কিন্তু থাকছেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি সভায় দলের সব কর্মী যাতে যুক্ত থাকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জেলায় দলের আহ্বায়ক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, এবছর বিজয়া সম্মেলনী না হলেও সর্বদলীয় সভা হবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কি এরকম সভা করা সম্ভব? সে প্রসঙ্গে নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, দলীয় সভা সফল করার ক্ষেত্রে করোনার নির্দেশিকা অবশ্যই মেনে চলা হবে। আগামী রবিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের দায়িত্ব নেন ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত কিশোরই সর্বপ্রথম শুরু করেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগের কাজ। সেক্ষেত্রে তার প্রথম পরিকল্পনা ছিল ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি অচিরেই যথেষ্ট সাফল্য লাভ করে বলে দাবি করা হয়েছে। উপরন্তু জনসংযোগ কর্মসূচির সাফল্যের ছবি ধরা পড়েছে উপনির্বাচনে। অতএব একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের জন্য যে আবশ্যিক হবে জনসংযোগ সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু করোনাকালে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ জনসংযোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন থাকছে, তেমনই প্রশান্ত কিশোরের নতুন জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে তৃণমূল নেতারা রাজ্যের মানুষকে কতটা প্রভাবিত করতে পারেন সে প্রশ্ন ওঠাও যথেষ্ট সঙ্গতিপূরণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!