এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা কালে উত্তরবঙ্গের মন জিততে তৃণমূলের বড় অস্ত্র হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প?

করোনা কালে উত্তরবঙ্গের মন জিততে তৃণমূলের বড় অস্ত্র হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যে কোনো সরকার বা জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে মানুষের কাম্য তিনটি প্রধান বিষয়। যার মধ্যে অন্যতম, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান। দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে মানুষের অন্যের যোগানে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য কলকাতা শহর জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “মা” ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। যেখানে 5 টাকার বিনিময়ে দুপুরবেলা ডিমের ঝোল এবং ভাত দিয়ে নিজের পেট ভরাতে পারবেন গরীব দুঃখী মানুষেরা।

সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়েছিল এই পরিষেবা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সকাল সাতটা থেকে দশটা বাজার খোলা থাকলেও রুজি রুটি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে দুপুর বেলার ভরপেট খাবার পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করল শিলিগুড়ি পৌরসভা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “মা” ক্যান্টিন পরিষেবার মধ্যে দিয়ে শিলিগুড়ি পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে দুপুরবেলা ভরপেট ডিমের ঝোল এবং ভাত পরিষেবা প্রদান করা হবে গরীব মানুষদের।

একাংশ বলছেন, করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তখন মানুষ আবার সংকটে পড়ে গিয়েছে। লকডাউনের রাস্তায় হাটার কারনে কিভাবে জীবন যাপন চলবে, তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই এর মধ্যে শিলিগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে মা ক্যান্টিন চালু করে দুপুরবেলা ভরপেট খাবার পরিষেবা প্রদান করে রাজ্যের শাসক দল বা রাজ্য সরকার শিলিগুড়ির মানুষের কাছে নিজেদের জনদরদি ভাবমূর্তি তুলে ধরতে উদ্যত হল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের আগে কলকাতায় এই “মা” ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই পাঁচ টাকায় ডিম ভাত দেওয়া এই পরিষেবা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে যখন লকডাউন শুরু হয়েছে, তখন শিলিগুড়ি পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে এই মা ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে বলে খবর। জানা গেছে, এনজিপি স্টেশনের কাছে, ঝংকার মোড়, এবং সেবক রোডের কাছে ইতিমধ্যেই এই ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করার জন্য বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, “শহরের 18 নম্বর ওয়ার্ডে মা ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। শীঘ্রই আরও তিনটি জায়গায় এমন ক্যান্টিন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে আমজনতার উপকার হবে বলে আশা করছি। ইতিমধ্যেই জংশন এলাকায় আবাসন দপ্তরের কাছ থেকে দুটি ঘর নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়নি। এবার সেই জায়গাতে মা ক্যান্টিন চালু করা হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা চালু করার চেষ্টা হবে। পর্যায়ক্রমে শহরের আরও দুটি জায়গায় এমন ক্যান্টিন চালু করা হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই দুর্দিনে শিলিগুড়ি পৌরসভার এই উদ্যোগ যে মানুষের অনেকটাই উপকারে লাগবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন প্রথম “মা” ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল, তখন সেখানে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে সদ্য তৃতীয়বার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্প যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর করোনা পরিস্থিতির কারণে দিনআনা দিন খাওয়া মানুষেরা কিভাবে নিজেদের জীবন চালাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের প্রকল্পকে হাতিয়ার করে শিলিগুড়ি পৌরসভার তিন জায়গায় “মা” ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হল। একাংশ বলছেন, এবারে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দীর্ঘদিন ধরেই এই কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবারও তা সম্ভব হয়নি। এতদিন এই কেন্দ্র বামফ্রন্ট নিজেদের দখলে রেখেছিল।

তবে এবার তৃণমূলকে পেছনে ফেলে সেই কেন্দ্র দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই আগামী দিনে শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে। সেখানে যাতে তৃণমূল নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়, তার জন্য করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য “মা” ক্যান্টিন পরিষেবা চালু করে শিলিগুড়ির মানুষদের সমর্থন পাওয়ার সুকৌশলী রাস্তা বেছে নিল রাজ্যের শাসক দল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!