প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি দেশের করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশের মোট করোণা সংক্রমণ সম্প্রতি ৩৪ লাখ এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে প্রতিদিনের সংক্রমণও ৭০ হাজারের গন্ডি অতিক্রম করেছে। মৃত্যুসংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে বেশ করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ হাজারের বেশি মানুষের। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ১-৬ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর নিট ইউজি পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু দেশের এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশজুড়ে এই পরীক্ষা গ্রহণ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে সরব বিভিন্ন বিরোধী দল।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে সহ ৬ টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যকে। এভাবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন নিয়ে যখন বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশের রাজনীতিতে ঠিক সেইসময় মহারাষ্ট্রর ঔরঙ্গাবাদের এআইএমআইএম সাংসদ ইমতিয়াজ জালিলের একটি মন্তব্য বিতর্ক আরো বাড়িয়ে দিল।

প্রসঙ্গত গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চলতি বছর দেশের মহরমের শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানিয়েছেন যে, এবছরে সমগ্র দেশে মহরমের শোভাযাত্রা বের হলে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পরবে আর এই দায়ে দোষী হবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এবার করোনা সংক্রমণ কালে দেশে জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা গ্রহণ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এআইএমআইএম সাংসদ ইমতিয়াজ জালিল দাবি তুললেন পরীক্ষা যদি নেওয়া হয় তবে প্রার্থনার জন্য মসজিদ গুলিও খুলে দেওয়া হোক। এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের শিব সেনা সরকারকে হুমকি দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ” মসজিদগুলো যদি খুলে না দেওয়া হয় তাহলে মুসলিমরা রাস্তা দখল করেই নমাজ পড়বেন।”

এআইএমআইএম সাংসদ ইমতিয়াজ জালিলের এই মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রবল সমালোচনা ও বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানার জনৈক বিজেপি নেতা এনভি সুভাষ বলেছেন, ” দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন বাড়ছে তখন এআইএমআইএম নেতার এই হুঁশিয়ারি খুবই বিপজ্জনক।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যখন রাজ্য সরকারগুলি সবসময় দেশের জনজীবনকে স্বাভাবিক করার প্রয়াসে ব্যস্ত, সেই আবহে সংখ্যালঘুদের ধর্মের নাম উস্কানি দেওয়া একেবারেই অনুচিত।একজন সংসদ হিসেবে তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। এবিষয়ে তার প্রশ্ন, ” তিনি কি মুসলিমদের রাস্তায় নমাজ পড়ার জন্য উসকে দিয়ে রাজ্য সরকারকে হুমকি দিতে চাইছেন।” তাই সংসদের এই মন্তব্যের জন্য তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হবার আর্জি জানালেন মহারাষ্ট্র সরকারকে।