এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে কেজরিওয়াল আর মমতাকে মিলিয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ! একুশের আগে বাড়ল চিন্তা?

করোনা আবহে কেজরিওয়াল আর মমতাকে মিলিয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ! একুশের আগে বাড়ল চিন্তা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ভারতের অবস্থা দিনে দিনে ভয়াবহে দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এই ভয়াবহ সময়েও রাজনীতির পারদ থেমে থাকেনি। বিজেপির সাংসদ গৌতম গম্ভীর বৃহস্পতিবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের উপর অভিযোগ করে বলেন, ‘কেজরীবাল দিল্লীতে সেটাই করছেন, যেটা মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গে করেছেন।’ আর এই সাংসদের এহেন বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তিতে এখন রীতিমত ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে।

গৌতম গম্ভীর এদিন আরো অভিযোগ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে যেভাবে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়েছেন, ঠিক তেমন ভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা তুলতে রেশন কার্ড জারি করার সময় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনঠাসা করেছিলো বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বরা।

আর, সেই অভিযোগের ঝাঁঝ যে তাদের নির্বাচনী ময়দানে ‘ডিভিডেন্ট’ দিয়েছিল তা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই প্রমাণিত। গত লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি এক লাফে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাছাড়া শতাংশের নিরিখে তৃণমূলের থেকে মাত্র ৪% কম ভোট পেয়েছিল। ফলে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন – গেরুয়া শিবিরের আক্রমন যে বঙ্গবাসীর মনে দাগ কেটেছিল – তা প্রমাণিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বর যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই অভিমত বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের। আর করোনা আবহে সেই আক্রমণ নতুন করে শুরু করে দিলেন বিজেপির তারকা সাংসদ গৌতম গম্ভীর। প্রসঙ্গত, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসাবে গৌতম গম্ভীরের সাফল্য ছিল গগনচুম্বী। ফলে কলকাতাতে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয়।

আর তাই, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রচারের মুখ হয়ে উঠতে পারেন তিনি বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির সাংসদ গৌতম গম্ভীর অভিযোগ করে বলেন যে, জল জমা নিয়ে আলোচনা করতে নগর বিকাশ সমিতির বৈঠক ডকা হলেও, লোকনির্মান আধিকারিক এই বৈঠকে উপস্থিত হননি। আর এরপরেই বিজেপির সাংসদ গৌতম গম্ভীর এবং দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রামবীর বিধুড়ি সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কিন্তু, সবথেকে বড় কথা দিল্লির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যেভাবে বাংলা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনা হল, তাতে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে তৃণমূল নেত্রীর উপর আরও চাপ বাড়তে চলেছে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এর বিধানসভার নির্বাচনে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিজেপির তীব্র আক্রমন যে তৃণমূল নেত্রীর মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠবে – সে সম্পর্কে কার্যত নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক মহল। তবে তৃণমূল নেত্রী বাংলায় হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে – এর বিরুদ্ধে এখন কি স্ট্র্যাটেজি নেন সেই দিকেই আপাতত তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!