এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আগামীদিনে গোটা ভারতের জন্য অপেক্ষা করছে করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর বিপদ? জানুন বিস্তারিত

আগামীদিনে গোটা ভারতের জন্য অপেক্ষা করছে করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর বিপদ? জানুন বিস্তারিত

চীন দেশ থেকে নিসৃত হয়ে করোনাভাইরাস পৃথিবীর ১২৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৬০ লাখের উপর মানুষ সাথে মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখের বেশি। করোনা কে প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন ছাড়া করো না কে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় ।

অন্যান্য দেশের ন্যায় ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। 21 দিনের লকডাউন ঘোষণা করলেও এর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩রা মে। লকডাউনের জেরে দোকান, অফিস, স্কুল-কলেজ, কারখানা সবই বন্ধ। তাই বিশ্বের আকাশে এক বড় ধরনের অর্থনৈতিক মন্দার সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়ে আসছে। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে প্রথমেই টান পড়বে মধ্যবিত্ত মানুষদের পেটে।

একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে লক ডাউন এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ১৪ কোটি মানুষের কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি ( সিএমআইই) সমীক্ষা জানাচ্ছে, এপ্রিলে শেষ সপ্তাহে ভারতের বেকারত্বের হার ২৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

২১ দিনের লকডাউন করার কথা বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে আপাতত ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন করেও করোনাকে প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা সাথে অব্যাহত আছে মৃত্যু মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে ফের লকডাউন বাড়ানো হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। গ্রাম এবং শহর উভয় জায়গাতেই শ্রমিকরা চাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস। তবে গ্রামে বেকার শহরের তুলনায় বেশি। ভারতের গ্রামে বেকার ২৬.৭ শতাংশ সেখানে শহরের বেকার হল ২৫.১ শতাংশ।

বৈজ্ঞানিক মহল থেকে বার্তা দেয়া হচ্ছে করোনাকে মোকাবিলা করার প্রধান অস্ত্র হল লকডাউন। কিন্তু আবার লক ডাউনের ফলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এই কথাও মনে করা হচ্ছে। ‌ এই সমীক্ষা বার্তা দিল কয়েকদিন লকডাউন চলায় কাজের বাজারটার কতটা ভয়ঙ্কর দশা যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে ছোট মাঝারি শিল্প সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে, সরকার তো বেতন না কাটা, কর্মী ছাঁটাই না করার অনুরোধ করছে কিন্তু তারা সেটা কিভাবে কতদিন পালন করবেন যদি না সরকারি সহায্য পায়।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন – এই লকডাউনের ফলে আপাতত উৎপাদন বন্ধ। ফলে ইতিমধ্যেই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি। যদিও এখনও প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কর্মীদের বেতন দিয়ে চলেছে – নিজেদের পকেট থেকে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া তো বেশিদিন চলা সম্ভব নয়। ফলে, খুব শীঘ্রই কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কমানোর মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

আর কম বেতন পেয়ে বা কর্মহীন হয়ে পড়লে – বহু মানুষের পক্ষে পেট চালানোয় দায় হয়ে পড়তে পারে। কোনোরকমে পেট চালানো গেলেও তাদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবেই – সেই দিক থেকে দেখতে গেলে বাজার আরও পড়বে। ফলে সবমিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর মন্দার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে দেশকে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন – করোনা তো শারীরিকভাবে যা ক্ষতি করার করবে, কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই আর্থিক মন্দ আরও বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে গোটা দেশের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!