এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা মোকাবিলায় নয়া মন্ত্র মমতার! এবার চিকিৎসায় ডাক পড়বে পাড়ার ডাক্তারদেরও! জানুন বিস্তারে

করোনা মোকাবিলায় নয়া মন্ত্র মমতার! এবার চিকিৎসায় ডাক পড়বে পাড়ার ডাক্তারদেরও! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা রোগীদের মধ্যে অনেকেই আবার হাসপাতালের পরিবর্তে হোম আইসোলেশনে বা বাড়িতে থেকেই করোনার চিকিৎসা করাচ্ছেন। কিন্তু অনেক সময় বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানো করোনা রোগীদের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। অনেককে আবার যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ছে যে, বিশেষ কিছু করার সময় থাকছে না। এই কারণেই এবার থেকে হোম আইসোলেশন বা বাড়িতে থাকা করোনা রোগীরা যাতে চিকিৎসকের অভাবে সমস্যায় না পড়েন। তাই তাদের চিকিৎসার জন্য সেই পাড়ার ডাক্তারদের নিয়োজিত করার পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, অর্থসচিব মনোজ পন্থ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে, সমস্ত জেলাশাসক ও পদস্থ অফিসার প্রমুখরা। এই বৈঠকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রাজ্য আইএমএর কর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, হোম আইসোলেশনে বা বাড়িতে থাকা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাড়ার ডাক্তারদের নিযুক্ত করা হবে।

এছাড়াও গতকালের এই বৈঠকে মাস্ক তৈরীর জন্য রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এখন থেকে এ কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ইতিপূর্বে, ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনে স্বাস্থ্যভবন এবং এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, গতকালের এই বৈঠকটি ছিল রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক।

গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হল হোম আইসোলেশন এ থাকা রোগীদের সেই পাড়ার ডাক্তারের নম্বর দেওয়া হবে। যদি সেই করোনা রোগী কোন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে থাকেন, তবে তিনি সেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন। আবার ডাক্তারদেরও সেই স্থানের করোনা রোগীদের নম্বর দেওয়া হবে। সম্প্রতি কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে এই কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। পরে রাজ্যব্যাপী এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানানো হয়েছে, প্রথম পর্বে ১০০০ জন স্থানীয় চিকিৎসক বা ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একজন চিকিৎসক পিছু ৪ জন করোনা রোগীকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। অনলাইনে, ফোনের মাধ্যমে বা বাড়িতে গিয়ে রোগীদের দেখতে পারবেন স্থানীয় চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের ফি সরকার নির্ধারণ করে দেয় নি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, মানুষের সাধ্যের মধ্যেই যেন তাঁরা তাঁদের ফি নিয়ে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক ডাঃ শান্তনু সেন জানালেন, ” বৃহস্পতিবার সব কর্পোরেশন ও পুরসভার প্রশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হবে। জেলার আইএমএ কর্তারাও সেখানে থাকবেন। সরকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দিয়ে এলাকাভিত্তিক ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট দেবে। আগামী এক সপ্তাহে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, এরপর থেকে ডাক্তারদের নম্বর কলকাতা ও জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কেউ রাজ্য সরকারের করোনা হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করেও স্থানীয় ডাক্তারদের ফোন নম্বর নিতে পারবেন। স্থানীয় এই ডাক্তারদের ফি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে রাখা হবে। কোন চিকিৎসক যদি ফি নিতে না চান তবে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানালেন যে, তাঁরা চান হোম আইসোলেশনে থাকা করোনার রোগীরা যেন কোন না কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে পারেন। এভাবেই রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় নয়া পণ্থা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!