করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবুও বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে পাল্টা প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে চাপে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। করোনায় তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে রেশনে দুর্নীতি, বিভিন্ন বিষয় রাজ্যকে কটাক্ষ করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি রাজ্যের আরও একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।

যেখানে করোনা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। আর এরপরই সেই বিষয়ে সরব হন বিজেপি নেতারা। কেন করোনা হাসপাতালগুলোতে মোবাইলের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। আর অর্জুন সিংহের পর এই একই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে মামলা করতে দেখা গেল হিন্দু জাগরণ মঞ্চকে। আর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের স্বস্তি বজায় থাকে, নাকি বাড়ে অস্বস্তি, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

সূত্রের খবর, শুক্রবার এই ব্যাপারে একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়। যেখানে প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ছিল। আর সেখানেই আগামী 19 মে দুটি মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়ে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে ঠিক কি করতে চাইছে, তা সরকারের কাছে জানতে চায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য সরকার যদি হাইকোর্টের শুনানিতে ধাক্কা খায়, তাহলে তা মামলাকারীদের পক্ষে বড় জয় হয়ে দাঁড়াবে।

শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও এক্ষেত্রে বড় জয় পেয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বড়সড় চাপে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক দল। ফলে এখন সময়ের অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তবে হাইকোর্টের শুনানিতে যদি রাজ্য সরকার চাপে পড়ে এবং করোনা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল কেন নিষিদ্ধ করা হল, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।