করোনা মহামারীর জন্য দায়ী চীন? অবশেষে সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য! আন্তর্জাতিক জাতীয় June 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত এক বছর ধরে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। প্রথম ঢেউয়ের পর আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যার মূলে এই করোনা ভাইরাস বলেই দাবি করছেন সকলে। মানুষকে অনেকটাই সচেতন থাকতে হচ্ছে এই ভাইরাসের আগমনে। তবে 2020 সালে এই ভাইরাস প্রথম প্রবেশ করার পর তা চীন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছিল বিভিন্ন দেশ। এমনকি বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যখন সকলকে লড়াই করতে হচ্ছে, তখনই আবার প্রত্যেকে এই ভাইরাস চীনের জন্যই এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ। তবে এবার সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা গেল ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি সেন্টারে কর্মরত মহিলা বিজ্ঞানীকে। বস্তুত, চীনের ইউহানের পরীক্ষাগারে কাজ করা এই মহিলা বিজ্ঞানীকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, চীনের এই গবেষণাগার থেকে নানা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে এবার প্রথম মুখ দেখা গেল সেই মহিলা বিজ্ঞানী ড্যানিয়েলকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন আর এই সমস্ত কিছু শুনে বিরক্ত হই না। তবে এটুকু বলতে পারি, অন্য যে কোনো সাধারণ পরীক্ষাগারে যেভাবে কাজ করে, এখানেও কড়া নিরাপত্তায় তাই হয়। মানুষ অতিরঞ্জিত করে যা ভাবছেন, তা ঠিক নয়। এই পরীক্ষাগারে কাজ করে আমি অসুস্থ হইনি। যারা অসুস্থতার দাবি করছেন, তারা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।” অর্থাৎ বিশিষ্ট এই মহিলা বিজ্ঞানী নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিলেন সকলে, তা কার্যত খন্ডন করার চেষ্টা করলেন। বলা বাহুল্য, করোনা ভাইরাস প্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকেই চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছিল। একমাত্র এই ভাইরাস চীন থেকে গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন সকলে। এমনকি বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে চীনকে বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে চীনের পরীক্ষাগার নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন তোলা হলে এবার এই বিষয়ে মুখ খুলে কার্যত গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে অপপ্রচার ধুলিস্যাৎ করার চেষ্টা করলেন বিশিষ্ট মহিলা বিজ্ঞানী। তবে তিনি এই রকম কথা বলে চীন সম্পর্কে স্বচ্ছভাব বজায় রাখার চেষ্টা করলেও, তা চীনের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশের ক্ষোভকে কতটা প্রশমিত করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -