এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা মরসুমে দুশ্চিন্তায় চা শ্রমিকরা! রোজগার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

করোনা মরসুমে দুশ্চিন্তায় চা শ্রমিকরা! রোজগার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই গোটা ভারতবর্ষে তথা গোটা বিশ্বে রুজিরুটি হারানো লোকের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বহু দেশে এমনকি ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যেও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সরকারি সংস্থাতেও কর্মীদের বেতন কাটা, অস্থায়ী কর্মীদের ভার কমানো সহ নানা ঘটনা চোখে পড়ার মত হয়েছে। তবে সরকারি ক্ষেত্রে বা মোটা মাইনের থেকে সামান্য কম পরিমাণ অর্থ পেলে ব্যাপারটা ক্ষোভের হলেও পেটের হয়ে দাড়ায় না। কিন্তু যে সমস্ত শ্রমিক মজুর শ্রেণীর কাছে বেতন বা উপরিটুকু বেঁচে থাকার চাবিকাঠি, তাদের ক্ষেত্রে সামান্য কমতিও বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে দার্জিলিং থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি বিভিন্ন জায়গার চা শ্রমিকদেরকে পুজোর সময় 20 শতাংশ বোনাস দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী এবং মালিকশ্রেণীর সামান্য উদ্যোগের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই চা শ্রমিকদের 20 শতাংশ বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুটা সুরভঙ্গ করে শ্রমিকদের সঙ্গে বোনাস নিয়ে সহমত পোষণ করতে পারেনি জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার অন্তর্গত সাইলি চা বাগানের কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, শ্রমিকদের তরফ থেকে 20 শতাংশ বোনাসের দাবি করা হলে কর্তৃপক্ষ তাতে কিছুতেই রাজি হয় না। অনেক বাক বিতন্ডার পরেও 15 শতাংশ থেকে বেশি বোনাস দিতে অরাজি হয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে শুরু হয় মালিক এবং শ্রমিকের বচসা, আন্দোলন এমনকি মন-কষাকষি পর্যন্ত। কিন্তু তার ফল যে এইরকম হয়ে দাঁড়াবে, সেকথা চিন্তাই করেননি অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ। একদিকে যখন বোনাস নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দর কষাকষি চলছে, তখন হঠাৎ করে কাজেই শ্রমিকরা দেখতে পায়, চা-বাগানের গেটের সামনে বড় করে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পশ্চিমবাংলার শ্রমিক শ্রেণী সেই বামফ্রন্ট সময়ের থেকেই কলকারখানার বন্ধ হওয়ার দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে থাকেন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আর সহজে খোলে না। আর সরাসরি পেটে লাথি পড়ে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের। যদিও 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে চা শ্রমিকদের মনজয় করতে যথেষ্ট তৎপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হয়ত এই বিষয়ে সরকারের তরফে অতিসত্বর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শ্রমিক শ্রেণীর মনে যে চাপা ভয় বাসা বেধেছে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই ব্যাপারে চা শ্রমিকদের একাংশ জানিয়েছেন, সঠিক সময় কারখানা খোলার ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে ভোট বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতেও তারা পিছপা হবে না। এছাড়াও শ্রমিকদের তরফ থেকে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করতে দেখা যায়। এখন বিশেষজ্ঞদের দেখার বিষয়, বাংলার অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার মত জলপাইগুড়ি জেলার এই চা কারখানারও একই পরিণতি হয় কিনা! নাকি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি হস্তক্ষেপে পুনরায় শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!