এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা মোকাবিলায় কঠোর! কাজে যোগ না দিলে এবার বরখাস্তের কঠিন দাওয়াই ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের!

করোনা মোকাবিলায় কঠোর! কাজে যোগ না দিলে এবার বরখাস্তের কঠিন দাওয়াই ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের!

দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বেশ ভালো মতনই ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনা আক্রান্ত জায়গার তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। পরিস্থিতি বিচার করে ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির বিশেষ কিছু হেরফের হয়নি। উপরন্তু কিছু মানুষের নির্বুদ্ধিতার কারণে পরিস্থিতি আরো বেগতিক হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, গত 24 ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে বারোটি কনটেইনমেন্ট জোন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি সামলাতে বোরো কোঅর্ডিনেটর সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি জরুরি বৈঠক করেছেন কলকাতা পুরপ্রধান ফিরহাদ হাকিম বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এবার ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার অনিয়মিত স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, লকডাউন চলাকালীন বেশকিছু ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চলেছেন। এমনকি শহরের বাইরে বাড়ি বলে তাদের না আসার কথা জানাচ্ছেন।

এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানালেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এদিন, ‘দুদিনের নোটিশ দেওয়া হবে, তার মধ্যে ওঁরা কাজে যোগ না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেব। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বরখাস্ত করা হবে। স্থায়ী কর্মীদের সাসপেন্ড করা হবে।’ ফিরহাদ হাকিম আরোও জানিয়েছেন, যেসব কর্মীরা শহরের বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের জন্য কলকাতায় হোটেল এবং গেস্ট হাউস ভাড়া করা হবে। সেখানে তাঁদের রাখা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি বাড়ি থেকে যাতে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করবে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও কাজে যোগ না দিলে যথারীতি কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, কলকাতার জোড়াবাগান এবং বড়বাজার এলাকায় করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই মাইক্রো প্লানিং এর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে খবর। তবে বড়বাজার এলাকায় বাজার না সরিয়ে বরং বাজারের বাইরে দাঁড়িয়ে মাল খালাস এর ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে পুলিশ নেবে, সে কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। অন্যদিকে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে করোনা টেস্ট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বারোশো নমুনা টেস্ট করা হবে বলে জানা গেছে। এজন্য বিভিন্ন জায়গার স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এদিন পুর প্রধান রেশনিং নিয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে খবর। রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এড়াতে চলছে লকডাউন।

কিন্তু লকডাউন এর মধ্যেও যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা প্রথমে হটস্পট এবং পরে কনটেইনমেন্ট এলাকা বলে চিহ্নিত হয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই লকডাউন মানা নিয়ে রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিছু অজ্ঞ মানুষের চিন্তাভাবনার জন্য করোনা সামাল দেওয়ার পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে চলেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!