এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা মোকাবিলায় মমতা কি সঠিক পথেই? স্বস্তি বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে

করোনা মোকাবিলায় মমতা কি সঠিক পথেই? স্বস্তি বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই অবনতির দিকে। রেকর্ড হারে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছিল। কিন্তু গত দুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতির সামান্য হলেও উন্নতি ঘটেছে। রাজ্যে টানা দুদিন ধরে নিম্নমুখী অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা আবহকালেই রাজ্যজুড়ে বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছিল, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার কারণ সঠিকভাবে করোনা টেস্ট না করা। তবে সমস্ত বিতর্ককে সরিয়ে রেখে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে রাজ্য সরকারকে সঠিক পথে করোনা মোকাবিলার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি সামলেছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ দিল্লি এবং মুম্বইতে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে যে করোনা তালিকা প্রকাশ পেয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান হয়েছে সপ্তমে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের সুস্থতার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত করোনার পরিসংখ্যান নির্ভর করে 24 ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ কতটা হচ্ছে, সক্রিয়ভাবে কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মৃত্যর হার কতটা বাড়ছে বা কমছে?

আর এই তিনটি বিষয়ে নজর দিয়ে দেখা যাচ্ছে- দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবার ক্রমশ কমছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের স্থান তুলনামূলকভাবে এই মুহূর্তে স্বস্তিদায়ক বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। অন্যান্য রাজ্যের দিকে তাকালে প্রথমেই দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের নাম উঠে আসে। কারণ এই দুটি রাজ্য একটা সময় রেকর্ড তৈরি করেছিল করোনা সংক্রমনের অ্যাক্টিভ কেসের ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, আশঙ্কা করা হয়েছিল গোষ্ঠী সংক্রমণের আখড়া হয়ে উঠেছে এই দুটি রাজ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি এবং মুম্বাইতে সামগ্রিক সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। গত 24 ঘন্টায় মুম্বাইতে সংক্রামিত হয়েছেন কমবেশি 700 জন যা গত তিন মাসের মধ্যে সবথেকে কম বলে দাবী করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত 24 ঘন্টায় মুম্বাইতে সবথেকে বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে নতুনভাবে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। আর তাই দিল্লিতে এবার কেজরিওয়াল সরকার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে, আগস্ট মাস থেকে দিল্লি সরকার মেট্রোরেল চালাতে ইচ্ছুক।

শুধু তাই নয় কেজরিওয়াল সরকার জানিয়েছেন,‌ মঙ্গলবার থেকে সব রকম হকার এবং সাধারণ মার্কেট খুলে দেওয়া হবে সাধারণের জন্য। এর সাথেই আগস্ট মাসে সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্স খুলে দেওয়া হবে। তবে সবকিছুই করোনা বিধি মেনে করা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও এখনো কিন্তু পুরোপুরি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। তাই এখনই দিল্লিতে মেট্রোরেল থেকে শুরু করে সাধারণ মার্কেট বা সিনেমা, মাল্টিপ্লেক্স খোলার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিচ্ছেন তাঁরা।

অন্যদিকে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন তা বিতর্কের মুখে পড়লেও আদতে যে তিনি ঠিক সে কথাই প্রমাণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিক কাজকর্ম পুরোপুরি শুরু হয়নি, তবে এভাবে যদি পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থার উন্নতি হয় ক্রমাগত ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, তাহলে সেদিনও দূরে নেই বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!