এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র! ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্য সরকার? জানুন

করোনা আবহে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র! ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্য সরকার? জানুন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ হারিয়েছে কর্মসংস্থান। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবার ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই বিনা পয়সায় রেশন দেবার কথা জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবে সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও ‘গরিব কল্যাণ খাদ্য যোজনা’-র তরফে সাধারণ মানুষদের বিনা পয়সাতে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন হবার পর থেকেই সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছে। তবে সম্প্রতি সেই রেশন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে রাজ্যের অন্দরমহলে। এবং সেই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।

খাদ্য দপ্তরে এই সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ‘গরিব কল্যাণ খাদ্য যোজনা’-র গ্রাহকরা এবং রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষার আওতায় থাকা মানুষেরা এই প্রকল্পের আওতায় ছোলা এবং গম পান বলেই জানা যায়। তবে এ দুটোর কোনটাই রাজ্যের তরফে আসে না। আসে কেন্দ্রে তরফ থেকে। তবে সম্প্রতি পোকা ধরা ছোট নিম্নমানের ছোলা এবং গম পাঠানোয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাদের বক্তব্য, এমন মানের খাদ্য সামগ্রী দিলে মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা যাবে। অন্যদিকে এত খারাপ মানের খাদ্যশস্য পাঠানোর কারণ হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে থেকে এড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে বলা হয়েছে যে হয়তো খাদ্যশস্যের নিম্ন মানের হওয়াতে বস্তায় ভরার পরে রাজ্যে পৌঁছতে পৌঁছতেই তা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে সমগ্র বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে এক বিশিষ্ট আধিকারিকের তরফ থেকে।

তাদের কথায়, এমন গম বা ছোলা গ্রাহকদের দেওয়ার যোগ্য নয়। এমনিতেই এর আগে রেশন দেওয়া নিয়ে দোকানে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পরেও যদি এমন মানের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়, তবে সমস্যা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। অন্যদিকে রাজ্যের খাদ্য দপ্তরে বলা হয়েছে গম উৎপাদন এই রাজ্যে হয় না। সবটাই আসে কেন্দ্রের তরফে। যার মধ্যে ছোলা আসে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে আর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা নাফেড থেকে আসে গম। তবে এবার এমন কেন হলো সেই নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে রাজ্যের কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে বলেই মনে করছেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। কারণ রেশন ডিলারদের আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলেও জানা গেছে। তবে তাঁর কথায় বিষয়টি রেশন ডিলাররা জানে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সচিবকেও জানানো হয়েছে। তাই নিশ্চয়ই এর থেকে কোন এক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে অন্যদিকে রাজ্যের ‘খাদ্য সাথী’ প্রকল্পের ফুড কুপন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেক্ষেত্রে যে ডিজিটাল কার্ড ছাপানো হয়েছে তার গায়ে একটি বার কোড দেওয়া থাকবে এবং সেটার থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো গ্রাহকের শস্য নেওয়ার পরিমাণ বোঝা যাবে বলে জানা যায়। এছাড়া নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা দপ্তর থেকে মেসেজ পাবেন এবং সেই হিসাবে তিনি কতটা পরিমাণ শস্য নিয়েছেন তা জানা যাবে। তবে এটুকু বলা যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই নিয়ে যা পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!