করোনা আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে ক্রমশ বাজার ছেয়ে যাচ্ছে নকল কীটে! সামনে এল বড়সড় আশঙ্কার খবর! কলকাতা রাজ্য July 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মারণ রোগ করোনা ক্রমশ তার থাবা প্রসারিত করেই চলছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা রোগের শিকার হচ্ছেন। কেউ কিছুদিন দুঃসহ কষ্টভোগের পর কোনক্রমে সুস্থ হচ্ছেন, কেউ বা ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। বড় বড় বিজ্ঞানী, চিকিৎসকেরা গবেষণায় রাত-দিন এক করে দিয়েও, এই রোগের উপযুক্ত প্রতিষেধক আবিষ্কারে সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ আংশিক বা পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু শুধু তো লকডাউন করে এই রোগকে দূর করা সম্ভব নয়! করোনা রোধে প্রয়োজন সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা। আর রোগ নির্ণয়ের জন্য চাই টেস্টিং। একারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্রমশ বাড়িয়েছে করোনা টেস্টিং এর সংখ্যা। যার ফলে বেড়েছে টেস্টিং কিটের ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর চাহিদা। আর এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে মুনাফা লুঠতে বাজারে নেমেছে কিছু অসাধু , লোভী কোম্পানি ও ব্যবসায়ী। যারা নকল করোনা কিটে বাজার চেয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল নকল করোনা কিটের সন্ধানে ৭৭ টি দেশে অভিযান চালিয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত তারা এই দেশগুলি থেকে ১৭,০০০ ভুয়ো করোনা টেস্টিং কিট বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গেছে অবৈধ খাদ্য ও ভুয়ো পানীয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তারা এই ভুয়ো কিট গুলির সন্ধান পেয়েছে। সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা এই ভুয়ো কিট গুলির বর্তমান মূল্য ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৯৮ কোটি ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত একাধিক বার অভিযান চালিয়ে এই সব নকল কীটগুলির সন্ধান পাওয়া গেছে। ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল জুর্গেন স্টক জানিয়েছেন, “গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেসময় একটা দুষ্টচক্র কেবলমাত্র নিজেদের মুনাফার কথা ভেবে বিপজ্জনক পণ্যগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছে।” আর এই নকল কিটের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বাজার চেয়ে ফেলেছে নকল স্যানিটাইজারও। করোনা রোগের কারণে পৃথিবীর সর্বত্র এখন স্যানিটাইজার-এর চাহিদা উর্ধমুখী, আর এরই সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। গত মাসে তাদের এক রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে যে, বিষাক্ত মিথাইল দিয়ে তৈরী করা নকল স্যানিটাইজার ছেয়ে ফেলেছে ভারতের বাজার। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দামি স্পিরিটের পরিবর্তে সস্তার মিথাইল ব্যবহার করে নকল স্যানিটাইজার বানিয়ে বাজারে বিক্রি করছে কিছু অসাধু কোম্পানি ও ব্যবসায়ী। এই নকল স্যানিটাইজার-এ ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ রকম বিপজ্জনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছে ইন্টারপোল। আন্তর্জাতিক পুলিশ জানিয়েছে, শুধু ভারত নয়, বেশ কিছু দেশে চলছে এই নকল স্যানিটাইজার-এর ব্যবসা। শুধু তাই নয়, PPE কিট বা স্যানিটাইজার বিক্রির নাম করে অনলাইনে ফাঁদ পেতে বসেছে কিছু অর্থ প্রতারক ভুয়ো সংস্থা। যারা ইন্টারনেটে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অনলাইনে টাকা নিয়ে নিচ্ছে, অথচ দিচ্ছে না কোন সামগ্রী! এমনকি তাদের নকল কোম্পানিকে আসল সাজাতে তারা তাদের ফোন তথা হেল্পলাইন নাম্বারও দিচ্ছে গ্রাহকদের। তবে জানা গেছে, এই নাম্বারগুলিতে ফোন করেও কোন উত্তর পাওয়া যায় না, রিং হয়ে হয়ে একসময় কেটে যায়। এই সমস্ত কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। আপনার মতামত জানান -