এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা নিয়ে এবার বড়সড় পদপক্ষে নিচ্ছে বাংলা, আশার আলো

করোনা নিয়ে এবার বড়সড় পদপক্ষে নিচ্ছে বাংলা, আশার আলো


রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যা ইতিমধ্যেই সবাই জানে। আশংকা বাড়িয়ে রাজ্যে রেড জোনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এমন কি যেগুলি গ্রীন জোন ছিলো সেগুলিও বর্তমানে রূপান্তরিত হয়েছে রেড জোনে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কোলকাতার অবস্থাও তথৈবচ। রাজধানী কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে অফিস কাছারি খুলে গেছে এবং 100% হাজিরার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

এই অবস্থায় করোনার সংস্পর্শ থেকে কিভাবে দূরে থাকা যাবে তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার বুকে শুরু হলো করোনার অ্যান্টিবডি টেস্ট। সূত্রের খবর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে আগেই কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সিদ্ধান্তে ঠিক হয়েছিল এবার থেকে কলকাতা শহরের বুকে শুরু হবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় শুরু হলো এই র‍্যান্ডম অ্যান্টিবডি পরীক্ষা।

বাগবাজার এলাকার পুরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়েছে এই র‍্যান্ডম অ্যান্টিবডি টেস্ট। বাগবাজার এলাকার পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপি ঘোষ এর তত্ত্বাবধানে এই কর্মকাণ্ড চলে বলে জানা গেছে। যাঁদের টেস্ট হয়েছে, তাঁদের নামের সিলেকশন লিস্ট অনুযায়ী 40 জনের মধ্যে 10 জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গেছে, চেন্নাইয়ের আইসিএমআর এ এই নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 12 দিন পর রিপোর্ট আসবে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আরো জানা গেছে, প্রতিদিন 10 জন করে মোট চার দিনে 40 জনের রক্তের নমুনা পাঠানো হবে চেন্নাইতে। এভাবে 7 নম্বর ওয়ার্ডের সকলের রক্তের নমুনা নেওয়া শেষ হয়ে গেলে তালিকায় থাকা অন্য ওয়ার্ডে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু হবে। শুধু তাই নয়, কলকাতার বিভিন্ন কনটেইনমেন্ট এলাকা থেকেও আরো 100 জন ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টেস্ট মোটেও করোনা টেস্ট নয়। তবে এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে, কোন মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা!

অর্থাৎ যদি অ্যান্টিবডি টেস্ট হওয়া ব্যক্তির এলাকায় বা তাঁর গোষ্ঠীতে যদি করোনা সংক্রমণ হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি কিভাবে শারীরিকভাবে ক্ষমতাবান হবেন করোনাকে ঠেকানোর জন্য, সেটাই জানা যাবে। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা মোকাবিলার জন্য খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো অ্যান্টিবডি টেস্ট। চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভাইরাস এর লালা রসের পরীক্ষা হয় দেহে ভাইরাস আছে কিনা তা বোঝার জন্য। অন্যদিকে অ্যান্টিবডি টেস্ট এর মাধ্যমে বোঝা যায় কারো শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা!

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, করোনা সংক্রমণ সেরে গেলেও ভবিষ্যতে তা কিন্তু আবার ফিরে আসতে পারে বড়ো আকারে। আপাতত কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে র‍্যান্ডম অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে কিভাবে করোনা মোকাবিলায় রক্তের নমুনাকে কাজে লাগানো যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে রাজ্যের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞগণ। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যেভাবে করোনা তার জিন পরিবর্তন করে চলেছে এবং এখন লক্ষণহ্নভাবে প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে, তাতে দেহে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যান্টিবডি থেকে থাকে, তাহলে করোনা হলেও সেভাবে কাবু করতে পারবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!