করোনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন মোদী, কটাক্ষ তৃণমূলের কলকাতা জাতীয় তৃণমূল রাজ্য May 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি যোগ হয়েছে হাসপাতালের অভাব, ওষুধের অভাব, অক্সিজেনের অভাব। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতন কোনো উপকরণই হাতের কাছে মজুদ নেই। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী আজকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ বেশ কয়েকজন কোভিড যোদ্ধার সঙ্গে অনলাইনে আলোচনায় বসেন। আর সেখানেই তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় দফার ঢেউ এসে লেগেছে। কিন্তু এই এই দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকারের দিকে উপর্যুপরি অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মহল। করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অক্সিজেন, টিকাকরণ, ওষুধ থেকে শুরু করে লকডাউন নিয়ে পর্যন্ত মোদি সরকারের দিকে উঠেছে একের পর এক অভিযোগ। কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদি পাল্টা সমালোচনাও করলেন না কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন না। বরং আজকের বৈঠকে কোভিডের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে চূড়ান্তভাবে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন। তাঁর কান্নায় গলা বুজে আসে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক কাশি থেকে করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বৈঠকে করোনা সামাল দিতে এবং আমজনতাকে সুরক্ষিত রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা এবং কর্মসূচির আলোচনা হয়েছে। তবে করোনায় যেসব পরিবার প্রাণ হারিয়েছে, তাঁদের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত ভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিজের আবেগ সামলে করোনায় নিহতদের জন্য আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এবারের সংক্রমণ আগের থেকে অনেক বেশি। ফলস্বরূপ দীর্ঘদিন ধরেই রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই আবেগকে নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করল তৃণমূল সরকার। সূত্রের খবর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য সামান্যতম ব্যবস্থাও করতে পারছেন না। তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে চোখের জল ফেলে সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যথারীতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে এ ধরনের কটাক্ষ গেরুয়া শিবির ভালোভাবে নেয়নি। তাঁদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চরম সংকটের আকার ধারণ করেছে। সেক্ষেত্রে রাজনীতি না করে প্রত্যেকের উচিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। আপাতত এই করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী দিনে কেন্দ্র ও রাজ্যের পক্ষ থেকে আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -