করোনাকালে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঠিক কি করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী? জানুন বিস্তারিত অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা হানা। যেখানে কিছুদিন আগে অবধি মনে করা হচ্ছিল যে হয়তো এবার খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপকে, সেখানে সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস। নেপথ্যে ভারতের উৎসবের তালিকা। মানুষের মধ্যে উৎসবের আনন্দকে কম করার উপায় এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই সেইসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ করোনা পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন গবেষক চিকিৎসক সহ প্রশাসন। বস্তুত সামনে রয়েছে অনেকগুলি উৎসব। যার মধ্যে গুজরাটের নবরাত্রি থেকে শুরু করে দীপাবলি ভাইফোঁটা রয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলায় আসছে দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব। তাই ইতিমধ্যেই উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে বাঙালি। আর তাতেই আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। উৎসবের প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। সেই সঙ্গে আনলক ফাইভে খুলে যাওয়া একাধিক দোকানপাট, মেট্রো মানুষের সেই চাহিদা পূরণে অনেকটাই সুযোগ করে দিয়েছে। আর এতদিন পর মানুষের লাগামছাড়া এহেন ঘোরাঘুরিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে এত সচেতনতার প্রচার শেষ পর্যন্ত কতটা প্রভাব ফেলেছে মানুষের মধ্যে? কারণ মানুষ যদি নিজে সচেতন না হয়, তাহলে সরকার প্রশাসন তাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করতে কখনোই সফল হবেনা। আর সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেই সম্প্রতি কথা বলতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। যেখানে উৎসব পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমনের বৃদ্ধিকে নিয়ে বিশেষ ভাবে তাঁকে চিন্তিত বলেই মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গেছে যে, পূজা করতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে এক জায়গায় আসতে হবে, কোন ধর্ম বা ঈশ্বর এমন দাবি জানায় না। তাই সরকারের চিন্তা যে উত্সবের মরসুমে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে তা অনেকাংশে মানুষ মানবেন না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে তিনি কেরলের কথাই তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, অগাস্ট মাসের ২২ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত চলা ওন্নাম উৎসবে শেষ এক সপ্তাহে কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে এই কয়েকদিনে ৬০% করোনা অ্যাক্টিভ কেস করোনা তালিকায় যুক্ত হয়েছে। যেখানে শেষ ২৪ ঘন্টায় ন’হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে শুধু কেরল নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানাতেও আগস্টের উত্সবের মরসুমের পরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই তিনি মনে করছেন যে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর আয়োজনের ফলে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল হারে বাড়তে পারে। তাই এখন থেকেই সেই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -