এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > করোনা পরিস্থিতিতে আটকে ছাত্রবৃত্তি, তীব্র বিপাকে রাজ্যের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

করোনা পরিস্থিতিতে আটকে ছাত্রবৃত্তি, তীব্র বিপাকে রাজ্যের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে ছাত্রবৃত্তি। ফলে রাজ্যের বহু সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালাতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মমুখীন। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের একাধিক বিদ্যালয়ে পাঠরত কয়েক লক্ষ সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী এখনো পর্যন্ত এ বছরের ছাত্র বৃত্তির টাকা পায়নি। গত ২০২০ সালে ছাত্রবৃত্তির জন্য যেসব ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছিল, তাদের এ বছরের মার্চ- এপ্রিলের মধ্যে বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু অনেকের কাছেই এই টাকা এসে পৌঁছয় নি। যার ফলে তীব্র বিপাকে রাজ্যে বহু সংখ্যালঘু পড়ুয়া।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পাঠরত প্রায় ৩৭ লক্ষ পড়ুয়াকে তিন ধরনের বৃত্তি দেয়া হয়েছিল। যে উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। সাধারণত রাজ্যের বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলমান সম্প্রদায়ের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য বছরে তিন ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য রয়েছে প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। এক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে যেমন পড়তে হবে, তেমনি শিক্ষার্থীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।

আবার, একাদশ শ্রেণি থেকে গবেষণারত শিক্ষার্থীদের জন্য পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক, আইটিআই, ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এম ফিল, বিএড শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেয়া হয়। আবার পেশাদারি ও কারিগরি শিক্ষায় পাঠকতদের জন্য মেরিট কাম মিনস স্কলার্শিপ দেয়া হয়। রাজ্য স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আইআইটি, আইআইএম, এনআইটি, এনআইএফটি, আইআইএফটি বিষয়ে পাঠরত শিক্ষার্থীদের এটি দেয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ উঠেছে, এ বছর বহু সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ছাত্রবৃত্তির অর্থ এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মাদ্রাসা ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সাজিদুর রহমান জানিয়েছেন যে, রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা না পেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের পরিবারের আর্থিক সংকট। এই অবস্থায় তাদের এই অর্থ দিলে তারা উপকৃত হতে পারত। যাতে দ্রুত এই অর্থ দেয়া হয়, সেজন্য নিগমের কাছে তিনি চিঠি লিখেছেন।

এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সাজিদুর রহমান আরও জানিয়েছেন যে, অনলাইনে আবেদন করলে অনেক সময় সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। পরে তা সংশোধন করে পাঠানো হলেও, তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখতে নিগমের কাছে তিনি জানিয়েছেন। নিগমের পক্ষ থেকে তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে, তাঁকে আশ্বাস দেওয়াও হয়েছে বলে, জানালেন তিনি।

তবে, এ প্রসঙ্গে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পি বি সেলিম জানালেন যে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ছাত্রবৃত্তি পেতে দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে ৩১ লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তির টাকা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট পড়ুয়াদের টাকা শীঘ্রই ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি আশা করছেন যে, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রবৃত্তির টাকা হাতে পেয়ে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!