এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়েও পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন! ক্রমশ বাড়ছে আশঙ্কা!

করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়েও পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন! ক্রমশ বাড়ছে আশঙ্কা!

দিনের-পর-দিন করোনা বাড়তে শুরু করেছে। গোটা বিশ্ব আজ তার কবলে। বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে অনেকে আবার আক্রান্ত হয়ে সেরেও যাচ্ছেন। কিন্তু একবার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেলে, পরের বার যে তিনি আর আক্রান্ত হবেন না, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না। ইতিমধ্যেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীনের মতো দেশগুলোতে এক ব্যক্তির দুইবার করে করোনা আক্রমণ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রবণতা দেখা যাওয়ায় এখন তীব্র আশঙ্কায় ভুগছে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাস দিনকে দিন বাড়ছে। তাই এমতাবস্তায় অনেকে সুস্থ হয়ে গেলেও, তাদের শরীরে যে সেই ভাইরাস আবার প্রবেশ করবে না, তার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা নেই স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে। শুধু তাই নয়, অনেকে এটাও আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমানে লকডাউনের কারণে কিছুটা হলেও করোনা ভাইরাসকে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ভাইরাস যেমন গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু করে, ঠিক তেমনই খুব তাড়াতাড়ি এই ভাইরাসও সেই সংক্রমনের রূপ নিয়ে নেবে।

তবে যে সময় করোনা ভাইরাস গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার নেবে, ততদিনে কোনো না কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করছেন একাংশ। বস্তুত, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। আর এর পরেই সেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হওয়ার কথা। তবে তত দিনের মধ্যে যাতে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যায়, তার জন্য মরণপণ চেষ্টা করছেন সকলে। কিন্তু এক্ষেত্রে সবথেকে বড় চিন্তার কারণ, একজন ব্যক্তির শরীরে একবার করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও, তার শরীরে আবার দ্বিতীয়বার তা প্রবেশ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে যারা এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে যে এই ভাইরাসের প্রকোপে পড়বেন না, এমনটা বলতে নারাজ বিশ্লেষকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের কমিউনিকেবল ডিজিজ শাখার প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও জাপান থেকে ওই রোগে একই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় একশোর বেশি লোক দ্বিতীয়বার ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত এর কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। তাই তারা দ্বিতীয়বারেও সংক্রমিত হয়েছে। এইচআইভি শরীরে গেলে তার বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু তা চরিত্রগতভাবে দুর্বল হওয়ায় ভাইরাসকে কাবু করতে পারে না। এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কি হচ্ছে, কতদিন অ্যান্টিবডি কার্যকর থাকবে, তা আর কিছুদিন গেলেই স্পষ্ট হবে।” কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে এবং ভাইরাসের যদি কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হয়, তাহলে তো দেশ সংকটের মুখে পড়বে!

এদিন এই প্রসঙ্গে রমন গঙ্গাখেদকর বলেন, “দেশে যে ধাঁচের ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতে ওষুধ তৈরির কাজ হবে। এই ভাইরাস খুব বেশি এবং দ্রুত চরিত্র বদল করেছে, এমন নজির এখনও সেভাবে পাওয়া যায়নি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশের কথা তুলে ধরে যেভাবে এক ব্যক্তি একবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার তিনি আবার আক্রান্ত হবেন বলে জানা গেল, তাতে ভারতে যদি এখন থেকেই সচেতনতা ফিরে না আসে মানুষের মধ্যে, তাহলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!