এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোনো উপসর্গ নেই, অথচ এঁরা করোনা ছড়াচ্ছেন! ঘুম উড়তে চলেছে ভারতবাসীর? সামনে এল নতুন তথ্য!

কোনো উপসর্গ নেই, অথচ এঁরা করোনা ছড়াচ্ছেন! ঘুম উড়তে চলেছে ভারতবাসীর? সামনে এল নতুন তথ্য!

এই মুহূর্তে সারা বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে মারাত্মক পরিস্থিতি। বিশ্বের কোণায় কোণায় প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারতেও করানোর সংক্রমণ দানবীয় ভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথমার্ধেই দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। যা এখনও জারি আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আগাম ঘোষণা করেছিলেন, লকডাউন উঠবে আগামী 3 রা মে।

আর তাই নিয়ে এবার শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা। অন্যদিকে লকডাউন এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এই মুহূর্তে উপসর্গহীন করোনা রোগীর দেখা মিলছে বেশি। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন প্রত্যাহার হবে কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। এমনিতেই লকডাউন এর ফলে মানুষ গৃহবন্দী।

ফলে রুজি-রোজগার পুরো বন্ধ। আর এর কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। সেদিকে নজর রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। যেসব জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা ঢুকতে পারেনি অর্থাৎ যে জেলাগুলি এখনো পর্যন্ত গ্রীন জোনে আছে, সেখানে স্বাভাবিক কাজকর্ম ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী কেন্দ্র। কিন্তু বাধ সেধেছে বিশেষজ্ঞদের দাবি। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে যেহেতু করোনা সংক্রমণের কোন উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা, তাই লকডাউন উঠে গেলে কোনোভাবেই উপসর্গহীন এবং উপসর্গযুক্ত কাউকে আলাদা করে বোঝা যাবেনা।

এর ফলে হয়তো সংক্রমণ দ্বিগুণ হারে বেড়ে উঠবে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি লকডাউন উঠেও যায় তাহলেও অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই চলাফেরা করতে হবে। ঠিক একই সমস্যা দেখা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেও আক্রান্তদের মধ্যে 25 শতাংশ শরীরে করোনার কোন উপসর্গ মিলছে না। অন্যদিকে 130 কোটির দেশ ভারতবর্ষে যদি সংক্রমণ আরো বাড়ে, তাহলে তা হবে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত 80% রোগীর মধ্যে হয় সামান্য উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বা কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এর বিজ্ঞানী রামন গঙ্গাখেদকরের মতে, এই মুহূর্তে ভারতে 69% রোগীর শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে কেউ আক্রান্ত হচ্ছে করোনায় এবং এই কারণেই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সামাজিক বিধিনিষেধ না মেনে চলা ফেরা শুরু হয়, তাহলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা আরও প্রবল হবে।

আর এদিকে নজর রেখে প্রথম থেকেই করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর দাবি উঠেছিল সব মহল থেকেই। বিশেষ করে হটস্পট এলাকাগুলিতে ব্যক্তি নির্বিশেষে প্রত্যেককে টেস্ট করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে ভারতে সাড়ে পাঁচ লাখের কিছু বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এবং এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতবর্ষে করোনা টেস্টের হার অত্যন্ত নিম্নমুখী। তবে আগামী দিনের সংক্রমণের দ্বিগুণ আশঙ্কাকে মাথায় রেখেই বিশেষজ্ঞরা দাবি জানিয়েছেন, উপসর্গের ভিত্তিতে পরীক্ষা না করে এবার প্রত্যেক ব্যক্তি নির্বিশেষে করোনা পরীক্ষা শুরু করুক ভারত সরকার।

কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে সমস্যা অন্য জায়গায়। এদেশে করোনা পরীক্ষাসংক্রান্ত কিট যথেষ্ট কম। আর তাই শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত সাবধানে টেস্ট কিট ব্যবহার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এবং এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের সংক্রমণ সেই অর্থে ছড়িয়ে পড়েনি। যদি তা না হতো, তাহলে আরও পজিটিভ রোগী পাওয়া যেত। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছিলেন, ভারতে লকডাউন করে অবশ্য করোনা পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আনা গেলেও পুরোপুরি রোধ করা যাবেনা।

এবং কালে কালে সে কথাই প্রমাণিত হয়েছে। তাই এবার লকডাউন এর শেষ পর্বে যখন সবাই উপস্থিত, সেসময় বিশেষজ্ঞরা আরো একবার জানালেন লকডাউন উঠে গেলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা হয়তো সত্য প্রমাণিত হবে। তাই এবার মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার আক্ষরিক অর্থেই শাঁখের করাতের ওপর দাঁড়িয়ে। একদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে দেশজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়ানোর আতংক। আর সেদিকে তাকিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীদিনে কি সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!