এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অমানবিক ছবি বাংলায়! করোনা পরীক্ষার তালিকায় কেন নাম? আশা কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক!

অমানবিক ছবি বাংলায়! করোনা পরীক্ষার তালিকায় কেন নাম? আশা কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা রুখতে প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল অনেকগুলি নিয়ম পালন করার কথা। তবে একথা সর্বার্থে প্রযোজ্য যে সেই নিয়মগুলি পালন করার জন্য করোনা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে করোনা নিয়ে সর্তকতা যে ভালোভাবে তৈরি হয়নি এবং যার ফলে অনেক মানুষই করোনা আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা করাতে আসতে চাইছেন না, সে কথা আগেই জানা গিয়েছিল। এছাড়া সেইসঙ্গে কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল এই কারণের জন্য যে পরিমান মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তার থেকে দশ গুণ বেশি আক্রান্তের সংখ্যা সরকারিভাবে নথিভূক্ত হচ্ছে না।

তবে সরকার থেকে কিন্তু কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে করোনা পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার চলছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং আশা কর্মীরা যথাযথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খবর নেওয়া, তাদের নাম নথিভুক্ত করা, তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং তারপর সেই মতো রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এই সমস্ত কাজই করে চলেছেন স্বাস্থ্য কর্মী এবং আশা কর্মীরা। তবে শুনে ব্যাপারটা অনেক সহজ মনে হলেও মানুষের মধ্যে করোনা সতর্কতা সৃষ্টি না করে, তাদেরকে দিয়ে এই কাজগুলো করানো কিন্তু মোটেই সহজ নয়। আর এই কাজ করতে গিয়েই সম্প্রতি এক আশাকর্মীকে মানুষের কাছে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েত এলাকার সাবমারার দিনাজপুর পাড়ায়। জানা গেছে এখানকারই একজন প্রাথমিক শিক্ষক এবং তার ভাইয়ের ক্রোধের শিকার হয়েছেন এক আশা কর্মী। এদিন এই এলাকার বাসিন্দা আশাকর্মী মিনতি মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই দুজন ব্যক্তি চড়াও হন এবং মিনাতীদেবীকে মারধর করেন। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে, কনটেইনমেন্ট জোনে করোনা পরীক্ষার তালিকা সনাতন বল্লব নামে এই শিক্ষকের নাম তুলেছিলেন আশা কর্মী মিনতি মুখোপাধ্যায়। আর যার পরিবর্তে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধোর করা হয়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে তাঁকে গালিগালাজ করা হয় এবং ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

তবে মিনতি দেবীর জানান, এই শিক্ষক সনাতন বল্লভের বৃদ্ধ বাবাই নিজের ছেলের করোনা পরীক্ষার কথা বলেন। আর সেই জন্যই তাদের নাম লিখেছিলেন তিনি। এরপর তাঁর বাড়িতে এসে অত্যাচার চালান হলে গ্রামবাসীরা মিনতি দেবীকে বাঁচায়। পরে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে বলা হয়েছে, আশা কর্মীর ওপর হামলার উপযুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত তারা কামনা করছেন। তবে ইতিমধ্যেই মিনতি দেবী পলাশী ফাঁড়িতে এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেই জানা গেছে। যার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে সনাতন বল্লভকে গ্রেপ্তার করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!