এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যদপ্তরের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি, হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যদপ্তরের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি, হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রাজ্যের অন্যান্য স্থানে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও এই জেলা বেশ কিছুটা সময় ধরে করোনা মুক্ত ছিল। মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফিরে আসার পর থেকেই জেলায় বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। সম্প্রতি পুজোর মুহূর্তে জেলার করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি পুজোর মুখে পুজোর বাজার করতে বেরোচ্ছেন বহু শহরবাসী।

আবার জেলার বহু মানুষ পুজোর বাজার করতে ভিড় করছেন জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন দোকান, বাজার, শপিং মলে। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনে, এমনকি মাস্ক না পড়েও চলছে পূজোর কেনাকাটা। করোনার বর্ধিত সংক্রমণ পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করে এবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু তার পরেও হুঁশ ফিরছে না অধিকাংশ শহরবাসীর।

করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় জনগণকে সতর্ক করে বলছেন যে, কোনভাবেই ভিড় বাড়ানো চলবে না। পুজোর সময় সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়লে সমস্যা বাড়বে। তাই সাবধানে থাকতে হবে সকলকে। কিন্তু বহুবার বহু সতর্কবার্তা দিয়েও সচেতন করা যাচ্ছেনা বহু জেলা বাসী তথা শহরবা সীকে। এরসঙ্গেই দ্রুত বাড়ছে জেলায় করোনার সংক্রমণ।

করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জলপাইগুড়ি শহরের নানান স্থানে চলছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। কিন্তু, এই অবস্থার মধ্যেও শহরের একাধিক বাজার, দোকান, শপিং মলে মানা হচ্ছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে, মাস্ক না পরেই কেনাকাটা করছেন বহু ক্রেতা। সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। কোথাও স্যানিটাইজার, কোথাও বা থার্মাল স্ক্রীনিং এর কোন ব্যবস্থাই নেই। শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন শহরবাসীরা। অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বারবার সাবধান করা হলেও সচেতন নন বহু মানুষ। সংক্রমণে বাড়তে পারে বলে বারবার সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শহরের বিভিন্ন বাজার, দোকান, মার্কেট কমপ্লেক্স, শপিং মলে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনেই, কেনাকাটা করছেন বহু মানুষ। শহরের এক শপিং মলে দেখা গেল যে, গেটে ক্রেতাদের স্যানিটাইজার দেওয়া হলেও, নেই কোনো থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা। অনেকসময় একই রাস্তা দিয়েই প্রবেশ ও প্রস্থান এর কাজ চলছে। জামাকাপড় বাছতে, শপিংমলে কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। আবার বেশ কিছু মানুষ মাস্ক না পড়েই কেনাকাটা করতে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ মানুষেরই মাস্ক চোয়ালে বা নাকের নিচে নামানো।

 

একটি শপিং মলে দেখা গেল যে, সেখানে ভিড় তেমন নেই, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছেন না। জামাকাপড় পছন্দ করতে গিয়ে কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। শপিংমলে জামা-কাপড় কিনতে এসে শহরের বাসিন্দা জানালেন যে, তিনি পুজোর বাজার করতে এসেছেন, জামা কাপড় পছন্দ করছেন যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন।শপিং মলের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি জানালেন যে, পুজোর বাজার করতে এসেছেন তিনি। মাস্ক তিনি পরেছেন, কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও দূরত্ব বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।

এক শপিংমলের বস্ত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বসু জানালেন যে, শপিংমলে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অঞ্জন সরকার জানালেন যে, শপিংমলে ভিড় বাড়ছে। পুজোর জামা কাপড় কেনা ছাড়াও অনেকে সময় কাটাতে যাচ্ছেন শপিংমলে। তাঁরা প্রত্যেককেই করোনার সংক্রমণ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি যেন কোনোভাবেই অবহেলা না করা হয়। বারবার নির্দেশিকা দেবার পরেও সচেতন হচ্ছে না শহরবাসী। যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!