করোনা পরিস্থিতি বনাম অর্থনৈতিক চাপ- দুইয়ের ঠেলায় এবার লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রকাশ বিভিন্ন রাজ্যের জাতীয় রাজ্য June 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ভারতের করোনা পরিস্থিতি ততই উদ্বেগজনক হচ্ছে। নিত্যদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সাধারণ মানুষের আতঙ্ককে চতুর্গুণ বাড়িয়ে দিয়ে ইতিমধ্যে ভারত সারাবিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে করোনার নিরিখে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দেশজুড়ে লকডাউন চললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, লকডাউন এর মধ্যেই বহুলাংশে বেড়ে গেছে সংক্রমণের সংখ্যা। অবশ্য এ সন্দেহ বিশেষজ্ঞরা আগেই করেছিল বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে আনলক ওয়ান পরিস্থিতি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ নির্দ্বিধায় ঘরের বাইরে পা দিচ্ছে। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আবারও নতুন করে সংক্রমণের তীব্রতা বেড়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত 24 ঘন্টায় দেশজুড়ে 19906 জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, এখনো পর্যন্ত সারাদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 528859। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারসহ বিভিন্ন রাজ্যের চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলে রাজ্যের এবং কেন্দ্রের অর্থনীতিকে আবার নতুন করে দাঁড় করানো যাবে! তাই এবার প্রশ্ন উঠছে, লকডাউন কি আবার শুরু হতে চলেছে ষষ্ঠ দফায়? নাকি আনলক দুই এবার কার্যকর হতে চলেছে? যদিও ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডসহ বেশকিছু রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী 31 জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে। অন্যদিকে তামিলনাড়ু চাইছে শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলিতে লকডাউন চালিয়ে নিয়ে যেতে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ড রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনেও লকডাউন চলবে নিয়মমাফিক। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই পর্বে নাইট কার্ফু একঘন্টা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী পয়লা জুলাই থেকে সমস্ত সতর্কতা বিধি মেনে মেট্রোরেল চালু হতে পারে। অন্যদিকে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার পূর্ণমাত্রায় লকডাউন চালিয়ে নেওয়ার বিরোধী। যদিও 31 জুলাই পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। আসামের সরকার আবার জানিয়েছে, আগামী 14 দিন সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে সেখানে। তেলেঙ্গানা শহরে অবশ্য করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গেছে ভালোই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তার জন্যই শহরের ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি আগামী 8 দিন সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ুর চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, থিরুভাল্লুর, চেঙ্গাপেট, মাদুরাই অঞ্চলে 19 শে জুন থেকেই লকডাউন চলছে, এখনো পর্যন্ত যা বর্তমান। পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি এই রাজ্যে। তবে শুধু চেন্নাইতে 700 জনের হয়ে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। তবে দেখা যাচ্ছে, কর্ণাটক সম্পূর্ণ উল্টো রাস্তায় হাঁটছে। সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে কর্ণাটক সরকার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে বলে জানা গেছে। এবং সেই বৈঠকে স্থির হয়, আগামী 5 জুলাইয়ের পর থেকে শুধু রবিবার লকডাউন পালন হবে রাজ্যে এবং বাকি অন্যান্য দিন আগের মতই সচল থাকবে। এই মুহূর্তে দেশের কোন রাজ্যই করোনা পরিস্থিতি সামলাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি বলে দেখা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন চালিয়ে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই ভেঙ্গে পড়ার মুখে। রাজ্যগুলির অবস্থাও তথৈবচ। এই মুহূর্তে ভেঙে পড়া অর্থনীতি গুছিয়ে না নিলে আগামী দিনে রাজ্যগুলি আরো ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সে দিক থেকে বিচার করে রাজ্যগুলি এবার যেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে সবার। তবে দেখার, আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতি সামলে অর্থনীতি সচল হতে পারে নাকি আরো ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে উঠবে করোনা সংক্রমণের তালিকা! আপনার মতামত জানান -